হাসপাতাল ছেড়ে ঢাকায় টিম হোটেলে মোস্তাফিজ

শঙ্কা কেটে গেছে তা জানা গিয়েছিল আগের দিনই। স্ক্যান রিপোর্টে ভালো আসার পর পরবর্তী পর্যবেক্ষণেও সব কিছু ঠিকঠাক ছিল মোস্তাফিজুর রহমানের। এবার হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেলেন তিনি। দুই রাত চট্টগ্রামের হাসপাতালে কাটানোর পর ছাড়া পেয়ে এখন ঢাকায় টিম হোটেলে রয়েছেন দেশের অন্যতম সেরা এই পেসার।

মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মোস্তাফিজের চোটের সবশেষে পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ফিজিও এসএম জাহিদুল ইসলাম সজল, 'গতকাল রাতে মোস্তাফিজুর রহমানের দ্বিতীয় সিটি স্ক্যান করানো হয়। এরপর নিউরোসার্জন ও বিসিবির সঙ্গে পরামর্শ করা হয়। বিমান ভ্রমণের ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাকে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল থেকে ঢাকায় টিম হোটেলে পাঠানো হয়েছে।'

মোস্তাফিজ ঢাকায় চলে এলেও তার দল এখনও চট্টগ্রামেই অবস্থান করছে। কারণ চট্টগ্রাম পর্বে এখনও একটি ম্যাচ বাকি তাদের। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শীর্ষে থাকা রংপুর রাইডার্সের মুখোমুখি হবে তারা। স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাচে নেই মোস্তাফিজ। এমনকি ঢাকায় গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেও তাকে পাওয়াটা অনিশ্চিত দলটির জন্য।

তবে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে নিজেদের শেষ ম্যাচে মোস্তাফিজ খেলতে পারবেন কি-না তা নির্ভর করছে নিউরোসার্জনের পরবর্তী পরীক্ষার উপর। এ প্রসঙ্গে ফিজিও সজল বলেছেন, 'তার ক্ষত এখন পরিষ্কার এবং সেরে ওঠার পথে। আগামী তিন দিন ড্রেসিং করব আমরা। এরপর আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি নিউরোসার্জনের পরামর্শ নেওয়া হবে।'

এর আগে রোববার সকালে চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সময় আহত হন মোস্তাফিজ। তখন পাশাপাশি নেটে ব্যাট করছিলেন লিটন দাস ও ম্যাথিউ ফর্ড।  মোস্তাফিজ ও নেট বোলাররা বল করছিলেন তাদের। নিজের বোলিং শেষে ফেরত আসার সময় আরেকজন বোলারের বলে পাশের নেট থেকে ফর্ডের শট এসে লাগে মোস্তাফিজের মাথার বাম পাশে।

সে সময় তার মাথা থেকে রক্ত পড়তে দেখা যায়। প্রাথমিক শুশ্রূষা দেওয়ার পর দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে করা হয় সিটি স্ক্যান। তাতে মোস্তাফিজের মাথায় কোন অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ মেলেনি। তবে সতর্কতা হিসেবে পর্যবেক্ষণে রাখা হয় তাকে।

Comments

The Daily Star  | English
10-bed ICU

Life-saving care hampered in 25 govt hospitals

Intensive Care Units at 25 public hospitals across the country have remained non-functional or partially operational over the last few months largely due to a manpower crisis, depriving many critically ill patients of life-saving care.

9h ago