তানজিদের সেঞ্চুরিতে প্লে-অফে চট্টগ্রাম

এক প্রান্তে ঝড় তুলে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তানজিদ হাসান তামিম। তার সেঞ্চুরিতেই দুইশর কাছাকাছি পুঁজি পেয়ে যায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এরপর বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দারুণ এক জয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে বন্দর নগরীর দলটি। অন্যদিকে নাটকীয় কিছু না হলে আসর থেকে বিদায় এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গেছে খুলনা টাইগার্সের।

মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে দিনের প্রথম ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৬৫ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান করে তারা। জবাবে ১৯.৫ ওভারে সবকটি উইকেটে ১২৭ রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা।

এই জয়ে শেষ চার নিশ্চিত হয়ে গেল চট্টগ্রামের। ১২ ম্যাচে ৭টি জয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের সমান ১৪ পয়েন্ট তাদেরও। তবে রানরেটে পিছিয়ে আছে তারা। আর এই হারে নকআউট পর্বে ওঠার স্বপ্ন বেশ কঠিন হয়ে গেল খুলনার। ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট তাদের। সমান ম্যাচে ফরচুন বরিশালের পয়েন্ট ১২। তাই প্লে-অফে উঠতে হলে শেষ ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে বড় জয়ের সঙ্গে বরিশালের হার কামনা করতে হবে তাদের। কারণ রানরেটেও তাদের চেয়ে বেশ এগিয়ে রয়েছে বরিশাল।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দলীয় ১৩ রানেই পারভেজ ইমনকে হারায় খুলনা। তবে ক্যারিবিয়ান তারকা শাই হোপকে নিয়ে ৫৪ রানের জুটি গড়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক এনামুল হক বিজয়। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই সব শেষ হয়ে যায় দলটির। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারালে গড়ে ওঠেনি বলার মতো আর কোনো জুটি। এমনকি ব্যক্তিগতভাবেও পারেননি কেউ দায়িত্ব নিতে।

২৪ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক বিজয়। হোপ ২১ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩১ রান করেন। এছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন কেবল জেসন হোল্ডার (১৮)। চট্টগ্রামের পক্ষে ৪ ওভার বল করে ২৫ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন শুভাগত হোম। ২টি শিকার বিলাল খানের। 

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামা চট্টগ্রামের শুরুটা ভালো হয়নি। শুরুতেই ফিরে যান সংযুক্ত আরব আমিরাতের ওপেনার মোহাম্মদ ওয়াসিম। তবে অপর প্রান্তটা ঠিকই আগলে রাখেন তানজিদ হাসান। দ্বিতীয় উইকেটে সৈকত আলীর সঙ্গে গড়েন ৫৬ রানের জুটি। যেখানে মাত্র ১৮ রান করে জেসন হোল্ডারের শিকার হন সৈকত।

এরপর টম ব্রুসের সঙ্গে গড়েন আরও একটি দারুণ জুটি। ৬১ বলে ১১০ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। যেখানে ৪১ বলে ৭৮ রান একাই করেন তানজিদ। রানের গতি বাড়ানোর তাগিদে ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ওয়েন পারনেলের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন এই ওপেনার।

৫৮ বলে তিন অঙ্ক স্পর্শ করা তানজিদ শেষ পর্যন্ত ৬৫ বলে খেলেছেন ১১৬ রানের ইনিংস। নিজের এই ইনিংসটি সাজাতে মেরেছেন সমান ৮টি করে চার ও ছক্কা। এবারের বিপিএলে দ্বিতীয় বাংলাদেশি ও তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি পেলেন এই ওপেনার। একই সঙ্গে এবারের বিপিএলে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসও বটে।

বিপিএলে সব মিলিয়ে সেঞ্চুরি করা সপ্তম বাংলাদেশি ব্যাটার এখন তানজিদ। এছাড়া টম ব্রুস অপরাজিত থাকেন ২৩ বলে ৩৬ রানে। শেষ দিকে রোমারিও শেফার্ড ৫ বলে ১০ আর শুভাগত হোম ৩ বলে অপরাজিত ৭ করলে দুইশোর কাছে চলে যায় দলীয় পুঁজি।

Comments

The Daily Star  | English
Kudos for consensus in some vital areas

Kudos for consensus in some vital areas

If our political culture is to change, the functioning of our political parties must change dramatically.

2h ago