কুমিল্লাকে হারিয়ে নকআউট পর্বে বরিশাল

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

হারলেও যে সুযোগ ছিল না, তা নয়। সেক্ষেত্রে তাকিয়ে থাকতে হতো দিনের পরবর্তী ম্যাচের দিকে। তবে নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই গড়েছে ফরচুন বরিশাল। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়েই নকআউট পর্বের টিকিট কেটেছে দলটি। বোলারদের দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের পর অধিনায়কোচিত এক ইনিংস খেলে এলিমিনেটর রাউন্ড নিশ্চিত করেন তামিম ইকবাল খান। 

শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে দিনের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪০ রান করে কুমিল্লা। জবাবে দুই বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে বরিশাল।

বরিশালের এই জয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে গেল খুলনা টাইগার্স। ১২ ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সমান ১৪ পয়েন্ট হলো তামিমদের। তবে রান রেটে এগিয়ে তিন নম্বরে উঠে এলিমিনেটর রাউন্ড নিশ্চিত করে তারা। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে আগেই প্রথম কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে কুমিল্লা। অন্যদিকে ১১ ম্যাচ ১০ পয়েন্ট খুলনার। তাই শেষ ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারালেও গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হবে তাদের।

এদিন বরিশালের জয়ে ভিতটা গড়ে দেন বোলাররাই। শুরু থেকেই দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে কুমিল্লাকে চেপে ধরে দলটি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেটও তুলে নেন তারা। ফলে কোনো মতে মাঝারী পুঁজি পায় কুমিল্লা। সে লক্ষ্য তাড়ায় দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন বরিশালের অধিনায়ক তামিম।

তবে রান তাড়ার শুরুটা ভালো ছিল না বরিশালের। দলীয় ১০ রানেই ভাঙে ওপেনিং জুটি। ব্যক্তিগত ১ রানে বিদায় নেন আহমেদ শেহজাদ। তবে কাইল মেয়ার্সের সঙ্গে ৬৪ রানের জুটি গড়ে সে চাপ সামলে নেন তামিম। এরপর মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে গড়েন ৩৯ রানের আরও একটি জুটি। তাতেই জয়ের ভিত পেয়ে যায় দলটি। এরপর অধিনায়ক বিদায় নিলেও বাকি কাজ সহজেই শেষ করেন মাহমুদউল্লাহ ও সৌম্য সরকার।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৬ রানের ইনিংস খেলেন তামিম। ৪৮ বলে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস। ২৫ বলে ২৫ রান করেন মেয়ার্স। মুশফিক খেলেন ১৭ রানের ইনিংস। কুমিল্লার পক্ষে ২১ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান মুশফিক হাসান।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে কুমিল্লা। দলীয় পুঁজি একশ হওয়ার আগেই লেজ বেরিয়ে যায় দলটির। তবে শেষ দিকে জাকের আলীর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে লড়াই করার পুঁজি মিলে গতবারের চ্যাম্পিয়নদের। ওপেনিংয়ে নেমে এদিন সুবিধা করে উঠতে পারেননি সুনীল নারিন। ২টি চার ও ১টি ছক্কা মেরে ১৬ রান করলেও বল খেলতে হয়েছে ১৮টি। ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক লিটন দাসও। ১২ রান করে বোল্ড হয়ে গেছেন তাইজুল ইসলামের বলে।

তিনে নেমে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তাওহিদ হৃদয়। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ২৬ বলে ৩টি চারে ২৫ রান করেন আউট হন ওবেড ম্যাককয়ের বলে। সেট হলেও তাওহিদের ইনিংস লম্বা করতে পারেননি মঈন আলীও। ২২ বলে ২৩ রান করেন তিনি। তাইজুলের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৪ রান করেন আন্দ্রে রাসেল। তবে কুমিল্লাকে শেষদিকে এগিয়ে নেন জাকের। ১৬ বলে ২টি চার ও ৪টি ছক্কায় হার না মানা ৩৮ রানের ইনিংস খেলেন এই তরুণ।

বরিশালের হয়ে তিন ওভার বল করে মাত্র ১৩ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। ৪ ওভার বল করে ১৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন সাইফউদ্দিন। এছাড়া ২টি উইকেট পেয়েছেন ম্যাককয়ও।  

Comments

The Daily Star  | English

Explosions rock Indian Kashmir

Sirens ring out in Jammu, projectiles in night sky; Islamabad says Indian drones earlier entered its airspace

10h ago