আউট নাকি নট আউট?

রাজকোট টেস্টের রেকর্ডময় ডাবল সেঞ্চুরির নায়ক যশভি জয়সওয়াল রাঁচিতেও মেলে ধরছেন ডানা। রোহিত শর্মার দ্রুত বিদায়ের পর আরেক পাশে তার ব্যাটেই ছুটছ ভারত। তবে ৪০ রানে তাকে আউট করার একটা সুযোগ পেয়েছিল ইংল্যান্ড।
তখন ২০তম ওভারের খেলা চলছিল। ওলি রবিনসনের ওভারের শেষ বল সফট হ্যান্ডে খেলতে গিয়ে এজড হন জয়সওয়াল। উইকেটকিপার বেন ফোকস অতি নিচু ক্যাচ হাতে জমিয়ে উল্লাস করতে থাকেন। সংশয় থাকায় মাঠের আম্পায়ার আউট না দিয়ে দ্বারস্থ হন টিভি আম্পায়ারের।
টিভি রিপ্লেতে যখন দেখাচ্ছিল বল ফোকসের গ্লাভসে জমা পড়ার আগে বেশ নিচু হয়ে একদম মাটি ঘেঁষা, এমন দৃশ্য দেখেও অবাক করে দিয়ে উল্লাস করতে থাকে ইংল্যান্ড। পরে জুম করেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলের নিচ গ্লাভস আছে কিনা। বরং বল মাটিতে লাগার সম্ভাবনা থেকে যায় প্রবল।
ক্রিকেটে ক্যাচ আউটের ক্ষেত্রে এক সময় মাঠের আম্পায়ার সফট সিগন্যালে নিজেদের একটা মত দিতেন। টিভি আম্পায়ার যথেষ্ট প্রমাণ পেলেই একটা দিকে সিদ্ধান্ত দিতেন, সংশয় থাকলে মাঠের আম্পায়ারের দেওয়া সফট সিগন্যালই বহাল থাকত। সেই সফট সিগন্যালের নিয়ম এখন উঠে গেছে। পুরো সিদ্ধান্তই টিভি আম্পায়ারের।
এক্ষেত্রে সংশয় থাকলে প্রথাগতভাবে ব্যাটারাই বেনিফিট অব ডাউট পান। জয়সওয়ালের ক্ষেত্রেও হয়েছে তাই। টিভি আম্পায়ার জুয়েল উইলসন নট আউটের সিদ্ধান্ত দিতে উদযাপন থামিয়ে মাথায় হাত দিতে বিস্মিয় প্রকাশ করেন স্টোকস। পরে অবশ্য আপত্তি না তোলে খেলা শুরু করেন।
আগের দিনের ৭ উইকেটে ৩০২ রান নিয়ে নেমে এদিন আরও ৫১ রান যোগ করে ৩৫৩ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে তৃতীয় ওভারে মাত্র ২ রান করে আউট হন রোহিত শর্মা।
দ্বিতীয় উইকেটে শুভমান গিলকে নিয়ে ৮২ রানের জুটি পান জয়সওয়াল। শোয়েব বশিরের বলে ৩৮ করে গিল আউট হলে ভাঙে এই জুটি।
চারে নেমে রজত পাতিদার বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি। জুটিতে ২৬ রান আসার পর ১৭ করে বশিরের দ্বিতীয় শিকার হন পাতিদার। রবীন্দ্র জাদেজা এসেও বশিরের তোপে পড়লে ১২৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে ভারত। আগের টেস্টের দুই নায়ক জয়সওয়াল ও সরফরাজ আহমেদের কাছে এখন দলকে টেনে নেওয়ার ভার।
Comments