ফিরে দেখা: টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দেশের মাটিতে বাংলাদেশের একমাত্র জয়

বাংলাদেশের নেতৃত্বে ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। শ্রীলঙ্কার অধিনায়কত্ব করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন সাব্বির রহমান।
ছবি: এএফপি

টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ১৩ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। লঙ্কানদের নয় জয়ের বিপরীতে টাইগারদের জয় চারটি ম্যাচে। এর মধ্যে কেবল একবার দেশের মাটিতে জিতেছে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ওই জয়টি এসেছিল আট বছর আগে এশিয়া কাপে।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই দলের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হচ্ছে সোমবার। প্রথম টি-টোয়েন্টি শুরু হবে সন্ধ্যা ছয়টায়। তার আগে ফিরে তাকানো যাক ২০১৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে। ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে সেদিন ২৩ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ।

এশিয়া কাপের লিগ পর্বের ওই ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল স্বাগতিক দল। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৭ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল তারা। লক্ষ্য তাড়ায় পুরো ওভার খেলে লঙ্কানরা থেমেছিল ৮ উইকেটে ১২৪ রানে।

ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম সংস্করণে দুই দলের পঞ্চম দেখায় সেটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম জয়। আগের চারটি ম্যাচেই জয়ী হয়েছিল শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশের নেতৃত্বে ছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। শ্রীলঙ্কার অধিনায়কত্ব করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন সাব্বির রহমান। টি-টোয়েন্টিতে ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস খেলে ৮০ রান করেছিলেন তিনি। মাত্র ৫৪ বল মোকাবিলায় তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১০ চার ও ৩ ছক্কা।

পঞ্চম ওভারে মাত্র ২৬ রানে ৩ উইকেট খুইয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। তিনে নামা সাব্বির এরপর চতুর্থ উইকেটে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে গড়েন ৬৮ বলে ৮২ রানের জুটি। শেষদিকে ঝড় তোলেন মাহমুদউল্লাহ। ফলে লড়াইয়ের পুঁজি মিলেছিল বাংলাদেশের। সাকিব ৩৪ বলে ৩২ রানে আউট হন। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থেকে যান ১২ বলে ২৩ রানে। দুশমন্থা চামিরা ৩ উইকেট নেন ৩০ রানে।

জবাবে শ্রীলঙ্কার শুরুটা ছিল দারুণ। একাদশ ওভারে এক পর্যায়ে তাদের রান ছিল ১ উইকেটে ৭৬। তখন ৩৭ বলে ৩৭ রান করা দিনেশ চান্দিমালকে ফিরিয়ে মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশকে দিয়েছিলেন গুরুত্বপূর্ণ ব্রেক থ্রু। ভেঙে গিয়েছিল ৪৭ বলে ৫৬ রানের জুটি। পরের ওভারে সাকিব ছেঁটে ফেলেন ২১ বলে ২৬ রান করা শেহান জয়সুরিয়াকে। এই ধাক্কা আর সামলে নিতে পারেনি লঙ্কানরা। আঁটসাঁট বোলিংয়ের বিপরীতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে হার মেনেছিল তারা।

আল-আমিন হোসেন ৩ উইকেট নিয়েছিলেন ৩৪ রান খরচায়। ২ শিকার ধরতে সাকিব দেন ২১ রান। একটি করে উইকেট পান মাশরাফি, মাহমুদউল্লাহ ও মোস্তাফিজুর রহমান।

ওই ম্যাচের একাদশে থাকা দুই দলের মোট ছয় ক্রিকেটার আছেন এবারের সিরিজে। বাংলাদেশের চারজন হলেন মাহমুদউল্লাহ, মোস্তাফিজ, তাসকিন আহমেদ ও সৌম্য সরকার। শ্রীলঙ্কার দুজন হলেন ম্যাথিউস ও দাসুন শানাকা।

Comments