তুশারার এক ওভারেই হেরেছেন মনে করেন শান্ত
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে বল হাতে তুলে নেন নুয়ান তুশারা। দ্বিতীয় বলেই অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে বোল্ড করে দেন অসাধারণ ডেলিভারিতে। পরের বলে কুপোকাত ইনফর্ম ব্যাটার তাওহিদ হৃদয়। এর পরের বলে মাহমুদউল্লাহকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলে তো হ্যাটট্রিকই তুলে নেন। তিন বলে তিন উইকেট হারানোর ধাক্কা কাটিয়ে সে অর্থে আর ফিরতে পারেনি বাংলাদেশ।
তবে লক্ষ্যটা খুব একটা নাগালের বাইরে ছিল না টাইগারদের। ১৭৪ রান তাড়া হরহামেশাই হয়ে থাকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। কিন্তু পাওয়ার প্লের মধ্যে এক ওভারে শীর্ষ তিন ব্যাটার ফিরে গেলে কাজটা কঠিনই হয়ে যায়। সেখানে ৩২ রানেই হারিয়ে ফেলে শীর্ষ ছয় ব্যাটারকে। এরপর রিশাদ হোসেন ও তাসকিন লড়াই করলেও বেশ দেরি হয়ে যায়। তাই তুশারার সেই ওভারেই ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন বলে মনে করেন অধিনায়ক শান্ত।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়কের সরল স্বীকারোক্তি, 'আমার তো মনে হয় ওই একটা যদি ওভার আরেকটু বেটার খেলতে পারতাম কিংবা নতুন বলটা আরেকটু ভালো খেলতে পারতাম তাহলে হয়তো ডিফারেন্ট বল গেম হতে পারতো।'
তবে নিজেদের ব্যর্থতার চেয়ে প্রতিপক্ষ বোলার তুশারার কৃতিত্বকেই বড় করে দেখছেন শান্ত, 'আমার তো মনে হয়ে এমন সবসময় হয় না। তবে আমার মনে হয় বোলারকে ক্রেডিট দিতে হবে, খুব একটা সহজ ছিল না। এই রকম সময়ে আমরা কীভাবে আমরা ওভারটা মিনিমাইজ করতে পারি এটাও ইম্পরট্যান্ট।'
আর কেন তুশারার বল খেলতে এমন হিমশিম খেয়েছেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অধিনায়ক, 'ওর অ্যাকশনটা তো অবশ্যই একটি ডিফারেন্ট। আমরা তো নরমালি ওই ধরণের অ্যাকশন খুব বেশি যে খেলি তা না। আগের দুই ম্যাচে পাথিরানাকে খেলেছিলাম, ভালোই হ্যান্ডল করেছিলাম। তবে আমার মনে হয় শুরু থেকেই ওই অ্যাকশনের সঙ্গে বল একটু সুইংও করছিল, একটু ডিফিকাল্টও ছিল।।'
এই স্লিঙ্গার ধরণের বোলার তুশারা মাত্র ২০ রানের খরচায় ৫টি উইকেট তুলে নেন। তবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলতে গেলে এই ধরণের বোলারদের বিপক্ষেও মানিয়ে নিতে হবে বলে মনে করেন শান্ত, 'ইন্টারন্যাশনাল লেভেলে এই সব চ্যালেঞ্জ একসেপ্ট করতে হবে। আর কীভাবে আমরা আরও ব্যাটার ক্রিকেট খেলতে পারি এটা নিয়ে প্ল্যান করতে হবে।'
Comments