বাংলাদেশকে উড়িয়ে দিয়ে সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও বদলায়নি ভাগ্য। আবারও ব্যাটারদের ব্যর্থতা। আবারও বড় ব্যবধানে হারে বাংলাদেশের মেয়েরা। ফলে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিল অস্ট্রেলিয়ার মেয়েরা।

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে বাংলাদেশকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৪.১ ওভারে ৯৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ১৫৭ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অজিরা।

আগের রাতে বৃষ্টি হওয়ায় মিরপুরের মাঠ কিছুটা ভেজা ছিল। সকালে ছিল মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া। সেখানে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। কিন্তু আগে ব্যাটিংয়ে নেমে কেবল হতাশাই উপহার দেন স্বাগতিক ব্যাটাররা।

শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে বাংলাদেশ। ফলে গড়ে ওঠেনি বলার মতো কোনো জুটি। এমনকি ব্যক্তিগতভাবে কোনো ব্যাটারও পারেননি দায়িত্ব নিতে। ফলে একশর আগেই গুটিয়ে যায় টাইগ্রেসরা।

স্বীকৃত ব্যাটারদের মধ্যে কেবল ওপেনিং জুটিতে ১৭ রান করেন সোবাহানা মোস্তারি ও ফারজানা হক। যেখানে এ দুই ব্যাটারের রান মাত্র ৮। বাকি ৯ রান আসে অতিরিক্তর খাত থেকে। এরপর ২২ গজের বাকি চিত্র ছিল জ্যোতিদের আসা-যাওয়ার মিছিল। তবে ৭৭ রানে ৯ উইকেট হারানোর পর দশম উইকেট জুটিতে মারুফা আক্তারকে ২০ রান যোগ করেন নাহিদা। যা স্বাগতিকদের ইনিংসে সর্বোচ্চ জুটি।

মাত্র তিনজন ব্যাটার স্পর্শ করতে পেরেছেন দুই অঙ্কের কোটা। এরমধ্যে ফাহিমা খাতুন ১১ ও রিতু মনি করেন ১০ রান। সর্বোচ্চ ২২ রানে আসে নয় নম্বরে নামা নাহিদা আক্তারের ব্যাটে। ফলে ৩৫ বল আগেই টিম টাইগ্রেস গুটিয়ে যায় ৯৭ রানে।

টাইগ্রেসদের ব্যাটিংয়ে ধস নামা অজি স্পিনাররা। বাঁহাতি স্পিনার সোফি মোলিনাক্স ১০ ওভারে মাত্র ১০ রান খরচ করে পান ৩টি উইকেট। দুই লেগ স্পিনার অ্যালানা কিং ও জর্জিয়া ওয়্যারহাম পান দুটি করে উইকেট।

লক্ষ্য তাড়ায় এলিস পেরির দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে চার উইকেট হারালেও জয় তুলে নিতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি অজিদের। ৫০ বলে ৩টি চারের সাহায্যে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন পেরি। অ্যাশলি গার্ডনার ২৩ বলে খেলেন হার না মানা ২৩ রানের ইনিংস।

তবে ফোবি লিচফিল্ডকে রান-আউট করার পর আরেক ওপেনার অধিনায়ক আলিসা হিলিকে আউট করে সূচনাটা ভালো করেছিল বাংলাদেশ। এরপর বেথ মুনি ও তাহিলা ম্যাকগ্রাথকেও দ্রুত ফেরায় তারা। তবে পুঁজি ছোট থাকায় লড়াই জমাতে পারেনি টাইগ্রেসরা।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

4h ago