চেন্নাইয়ের জয়ে দুটি শিকার মোস্তাফিজের
প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। তবে গুজরাট টাইটান্সের বিপক্ষে সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। তবে শুরুর দুই ওভারে খরুচে থাকলেও শেষ দুই ওভারে দারুণ বোলিংয়ে পেয়েছেন দুটি উইকেট। এছাড়া সতীর্থ সবাইর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বড় জয়ই পেয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাই সুপার কিংস।
মঙ্গলবার চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ম্যাচে গুজরাট টাইটান্সকে ৬৩ রানে হারিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৬ রান করে তারা। জবাবে ৮ উইকেটে ১৪৩ রানের বেশি করতে পারেনি গুজরাট।
বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে এদিন মোস্তাফিজকে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে আনেন চেন্নাই অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়। প্রথম বলটাই হাফভলি করেন তিনি। তার প্রাপ্য সাজা দিয়ে বাউন্ডারি আদায় করে নেন ঋদ্ধিমান সাহা। পঞ্চম বলে আরও একটি বাউন্ডারি দিলে সে ওভারে মোট ১০ রান খরচ করেন এই পেসার।
একাদশ ওভারে বোলিংয়ে ফিরেও প্রথম বলে বাউন্ডারি হজম করেন মোস্তাফিজ। চতুর্থ বলে আরও একটি বাউন্ডারি দিয়ে ১৩ রান দেন এই ওভারে। তবে ১৭তম ওভারে বোলিংয়ে ফিরে দ্বিতীয় বলে অফকাটার দিয়ে রশিদ খানকে আউট করেন তিনি। খরচ করেন কেবল ১ রান।
পরের ওভারে ফিরে আরও একটি অফকাটারে রাহুল তেওয়াতিয়ার উইকেট তুলে নেন মোস্তাফিজ। এই ওভারে খরচ করেন ৭ রান। শেষ পর্যন্ত চার ওভারে ৩০ রানের খরচায় ২টি উইকেট পান এই পেসার। এছাড়া তুষার দেশপাণ্ডে ও দিপক চাহারও শিকার করেন ২টি উইকেট। মাথিশা পাথিরানা ২৯ রানের বিনিময়ে পান ১টি উইকেট। গুজরাটের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন ইমপ্যাক্ট সাব হিসেবে মাঠে নামা সাই সুদর্শন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শিভাম দুবের ফিফটি এবং দুই ওপেনার রুতুরাজ ও রাচিন রবীন্দ্রর ব্যাটে বড় পুঁজি মিলে চেন্নাইয়ের। মাত্র ২৩ বলে ২টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৫১ রান করেন ডুবে। রুতুরাজ ও রাচিন দুইজনই করেন ৪৬ রান করে। তবে রাচিন ছিলেন বেশ আগ্রাসী। ২০ বলে এই রান করেন তিনি। অন্যদিকে রুতুরাজের লাগে ৩৬ বল।
এর আগে চেন্নাইয়ের হয়ে খেলতে নেমে প্রথম ম্যাচেই দলের জয়ে মুখ্য ভূমিকা রাখেন মোস্তাফিজ। আইপিএল ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো চার উইকেট উইকেট হন ম্যাচ সেরাও। ২৯ রানের খরচায় সেদিন তুলে নিয়েছিলেন ফাফ দু প্লেসি, রজত পতিদার, বিরাট কোহলি ও ক্যামেরুন গ্রিনের উইকেট।
Comments