'সিলেটের তুলনায় চট্টগ্রামের পিচ ব্যাটারদের জন্য বেশ ভালো'

সিলেটের পিচে ব্যাটাররা যেমন সহায়তা পেয়েছেন, তেমনি পেয়েছেন বোলাররা। যদিও লঙ্কানরা পিচ থেকে যতো না সহায়তা পেয়েছেন, তার চেয়ে ঢের বেশি পেয়েছেন টাইগার ব্যাটারদের কাছ থেকে। টাইগারদের কাণ্ডজ্ঞানহীন সব শটেই বিধ্বস্ত হয় বাংলাদেশ। তবে চট্টগ্রামের পিচ অনেকটাই ফ্ল্যাট হওয়ায় ব্যাটিং করা সহজ বলে জানালেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটার কামিন্দু মেন্ডিস।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম দুই দিনে ব্যাটিং করে প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রানের বড় পুঁজিই পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। যদিও রানের গতি ছিল সিলেটের চেয়ে কম। তবে পুঁজিটা বড় হয়েছে তাদের। অতি আগ্রাসী না হয়ে নিজেদের স্বাভাবিক ব্যাটিং করছেন বলে জানান কামিন্দু, 'রান-রেট আমাদের পরিকল্পনায় ছিল না। আমরা সচরাচর যেভাবে খেলি সেভাবে খেলেছি।'
ব্যাটিং করাটা সহজ ছিল জানিয়ে আরও বলেন, 'আমার মনে হয় সিলেটের তুলনায় এখানে ব্যাটিং করা সহজ। আমাদের খেলোয়াড়রা, তাদের বেশিরভাগই ভালো বলে আউট হয়েছে। আপনি একশ পান বা না পান তা বিবেচ্য নয়। আমরা কিন্তু ৫০০ রানে পৌঁছাতে পেরেছি। ...গত ম্যাচের তুলনায় পিচ ব্যাটারদের জন্য বেশ ভালো। তবে আমি মনে করি এটা স্পিনারদের জন্য আরও সুবিধাজনক হবে।'
দ্বিতীয় দিন শেষে এক উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান করেছে বাংলাদেশ। তবে শেষ বেলায় নিজেদের স্বাভাবিক ব্যাটিংই করেছেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। তাতে পিচে যে বোলারদের জন্য আহামরি কিছু নেই তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তাই তৃতীয় দিনেও ব্যাটিং তেমন কঠিন হওয়ার কথা নয় বলে মনে করেন বাংলাদেশ দলে ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প।
'আমরা দিনের বেলায় কিছু বলে বেশ টার্ন দেখেছি। আমরা যেভাবে খেলেছি বা বাউন্ডারি মেরেছি তা দেখে মনে হচ্ছে এটি একটি সুন্দর পিচ। আমি মনে করি না আগামীকাল (সোমবার) খুব বেশি পরিবর্তন হবে,' চট্টগ্রামের পিচ দেখে এমনটাই মনে করেন এই কোচ।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এই পিচে বাংলাদেশের ব্যাটাররা প্রত্যাশিত ব্যাটিং করতে পারবেন তো? ফলোঅন এড়াতে হলেও কমপক্ষে ৩৩২ রান করতে হবে তাদের। সেখানে সিলেট টেস্টে তো বটেই সব শেষ চার ইনিংসে দুইশ রানও করতে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যাটারদের ব্যর্থতা ফুটে উঠেছে স্পষ্টভাবে। ধৈর্য ধরে ব্যাটিং করার চেয়ে তেড়েফুঁড়ে মারার প্রবণতাই যে বেশি তাদের।
Comments