ব্যাটিং উইকেটে অল্প রানে গুটিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ

যে উইকেটে শ্রীলঙ্কা পেল পাঁচশো ছাড়ানো পুঁজি। সেই একই উইকেটে নেমে নাজেহাল অবস্থা হলো বাংলাদেশের ব্যাটারদের। আসিতা ফার্নেন্দো, বিশ্ব ফার্নেন্দো, লাহিরু কুমারা প্রভাত জয়াসুরিয়াদের তোপে কোন তাল খুঁজে পেলেন না নাজমুল হোসেন শান্তরা। ১৭৮ রানে গুটিয়ে ফলোঅনে পড়েছে বাংলাদেশ। যদিও বাংলাদেশকে ফলোঅন করাচ্ছে না লঙ্কানরা।
চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিনের চা-বিরতির আগে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ১৭৮ রানে। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার লিড ৩৫৩ রানের। ফলোঅন করানোর সুযোগ ছিলো লঙ্কানদের সামনে। তবে সফরকারীরা নিজেরাই আবার ব্যাট করতে নামবে।
১ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশ সকালের প্রথম ঘন্টা পার করেছিল অনায়াসে। তারপরই একে একে পড়তে থাকে উইকেট। ফিফটি করে ফেরেন জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত ১ রান করে ছুঁড়ে দেন উইকেট। নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলাম কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে দেন বিদায়। লাঞ্চের আগেই পড়ে আরও ৩ উইকেট।
লাঞ্চ থেকে ফিরে ইনিংস টেনে নেওয়ার দায়িত্ব ছিল অভিজ্ঞ সাকিবের উপর। কিন্তু বেশ কয়েকটি বল খেলেও থিতু হতে পারেননি সাবেক অধিনায়ক। ২৩ বলে ১ চারে ১৫ করা সাকিবকে সেটআপ করে ফেরান আসিতা ফার্নেন্দো। অ্যারাউন্ড দ্য উইকেটে এসে তাকে শুরুতে শর্ট বল করেন, পরে আচমকা একটা ফুল ডেলিভারিতে ফাঁদে ফেলেন এলবডব্লিউর। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি সাকিব।
লিটন ছিলেন প্রবল চাপে। ক্রিজে এসে দারুণ কাভার ড্রাইভে এক চার পেয়ে যান। তিনিও মূলত কাবু ফাঁদে আটকে। আসিতা লিটনকে ফুললেন্থে বল দিয়ে চার খেলেও দুই বল পরেই খানিকটা খাটো করে দেন লেন্থ। রাইজিং ডেলিভারিতে খোঁচা মেরে লিটন ৪ রান করে জমা পড়েন কিপারের গ্লাভসে।
তরুণ দিপু ক্রিজে এসে হাঁসফাঁস করছিলেন। বাঁহাতি স্পিনার প্রভাত জয়াসুরিয়াকে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান। জীবন পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। লাহিরুর বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে তিনি আউট হন ৮ রান করে।
মেহেদী হাসান মিরাজ ক্রিজে এসেই ডাউন দ্য উইকেট প্রভাতকে উড়াতে গিয়ে লোপ্পা ক্যাচ দিয়েছিলেন। বদলি ফিল্ডার সাদেরা সামারাবিক্রমা সেই ক্যাচ ফেলে দিলেও ৭ রানের বেশি করা হয়নি তার। প্রভাতের বলেই কাটা পড়েন এলবিডব্লিউতে।
মুমিনুল দেখাচ্ছিলেন দৃঢ়তা। তার লড়াই থামান আসিতা। অ্যারাউন্ড দ্য উইকেটে অ্যাঙ্গেল তৈরি করে এলবিডব্লিউতে বাঁহাতি ব্যাটারকে কাবু করেন তিনি। চা-বিরতি বিলম্বিত করলে আসিতা খালেদ আহমেদকে তুলে নিয়ে মুড়ে দেন বাংলাদেশের ইনিংস।
চোট কাটিয়ে ফেরা পেসার ৩৪ রানে পান ৪ উইকেট। বাকি তিন বোলারের শিকার দুটি করে।
Comments