আগ্রাসী মেজাজের ব্যাটিংয়ে চার উইকেট নেই বাংলাদেশের

বিশাল লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম সেশনে বেশ সাবধানী ব্যাটিং করেছিলেন দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও জাকির হাসান। কিন্তু লাঞ্চের পর চরিত্রে পরিবর্তন আসে তাদের। আগ্রাসী হতে শুরু করেন তারা। তার ফলাফলও পেয়েছেন দ্রুতই। দ্বিতীয় সেশনে হারায় ৪ উইকেট। চা বিরতির আগে শেষ ওভারে মুমিনুল হক তো আউট হয়েছেন বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে।
মঙ্গলবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশন শেষে ৪ উইকেটে ১৩২ রান করেছে বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান ১৭ বলে ১৪ রান এবং লিটন দাস ৫ বলে ০ রান করে অপরাজিত রয়েছেন উইকেটে।
৫১১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের রেকর্ড টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসেই নেই। গড়তে হবে নতুন রেকর্ড। এক অর্থে অসম্ভবই। ড্রয়ের করতে হলেও ব্যাটিং করতে হবে পাঁচ সেশনের বেশি। তবে টাইগারদের শরীরী ভাষায় বোঝা যাচ্ছে সে পথে হাঁটতে রাজী নন। তারচেয়ে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করে রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যেই নেমেছেন তারা।
জয় যে বলে আউট হয়েছেন তার এক বল আগেই উইকেট ছেড়ে বেড়িয়ে বাউন্ডারি মারেন। ইঙ্গিতটা স্পষ্ট ধৈর্য ধরে ব্যাটিং করার পক্ষে নন তিনি। তারচেয়ে দ্রুত রান তুলে নেওয়াকেই পছন্দ করছেন। তাই প্রভাত জয়াসুরিয়ার মিডল স্টাম্পে রাখা বলে পেছনের পায়ে ভর করে দাঁড়িয়ে কাট করতে গেলেন। তবে লাইন মিস করে হয়ে যান বোল্ড। ভাঙে ৩৭ রানের ওপেনিং জুটি। ৩২ বলে ২৪ রান করেন জয়।
এরপর খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জাকির। টানা ধারাবাহিকভাবে ওয়াইড অব দ্য ক্রিজে চতুর্থ ও পঞ্চম স্টাম্পে অ্যাঙ্গেলে ভেতরে ঢোকানোর চেষ্টা চালান। এমনই ঠিক আগের বলেই খেলতে গিয়ে অল্পের জন্য এজ হয়নি জাকিরের। তবে পরের বলে ঠিকই কানা ছুঁয়ে যায় ব্যাটে। স্লিপে সহজ ক্যাচ লুফে নেন অধিনায়ক ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ৩৯ বলে ১৯ রান করেন জাকির।
এরপর উইকেটে নেমেই আগ্রাসী ঢঙ্গে ব্যাটিং শুরু করে মুমিনুল হক। নিজেদের দ্বিতীয় বলেই উইকেট ছেড়ে বেড়িয়ে বাউন্ডারি মারেন। একই ওভারে ডাউন দ্য উইকেট গিয়ে ছক্কাও হাঁকান তিনি। মুমিনুল মতো শান্তও আক্রমণ করার চেষ্টা করছেন। মাঝেমধ্যেই উইকেট ছেড়ে বেড়িয়ে বাউন্ডারি আদায় করে নিচ্ছেন। ৪৩ রানের জুটিও গড়েন দ্রুত।
শান্তকে আউট করে এ জুটি ভাঙেন লাহিরু কুমারা। তাকে আগের ওভার থেকেই ধারাবাহিকভাবে শর্ট অব লেন্থে বল করছিলেন এই পেসার। আউট হওয়ার ঠিক আগে এমন বলেই ব্যাকফুটে গ্লান্স করে দুই রান পেয়েছিলেন শান্ত। পরের বলও এমন কিছু হবে ভেবেছিলেন। এবার ব্যাক অব লেন্থে করলেন কুমারা। ডিফেন্স করার চেষ্টা করেছিলেন শান্ত। তবে এক্সট্রা বাউন্সে স্টাম্প ভাঙে তার। ৫৫ বলে ২০ রান করেন শান্ত।
শুরু থেকেই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাটিং করতে থাকা মুমিনুল এগিয়ে যাচ্ছিলেন দ্রুতই। ৫৫ বলে তুলে নেন ফিফটিও। যেখানে ৮টি চারের সঙ্গে মারেন একটি ১টি ছক্কাও। তবে আউট হয়েছেন এর ঠিক পরের বলেই। চা বিরতিতে যাওয়ার আগের বলে সুইপ করে বাউন্ডারি আদায় করতে গিয়ে কুমারার ক্যাচ পরিণত হন তিনি। ভাঙে ৩৮ রানের জুটি। ফলে চার উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়ে যায় বাংলাদেশ।
Comments