এই ঈদটা একটু স্পেশাল: জাকের আলী

ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফর্মের পুরস্কার হিসেবে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে হবিগঞ্জের ক্রিকেটার জাকের আলী অনিকের। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের হোম সিরিজে টি-টোয়েন্টির অভিষেকে নজরও করেছেন তিনি। দারুণ এক সাহসী ইনিংসে প্রমাণ দিয়েছেন সামর্থ্যের। তবে ঈদের এই সময়ে অন্যসব খেলোয়াড়দের মতো পরিবারকেই সময় দিচ্ছেন তিনি।

জাকেরের জন্য এবারের ঈদটা স্পেশাল। কিছু দিন আগেই সন্তানের বাবা হয়েছেন। তার উপর জাতীয় দলে অভিষেক হওয়ার পর প্রথম ঈদ। যদিও ঈদের সময়টায় ক্রিকেট থেকে দূরে আছেন পরিশ্রমী এই মিডল-অর্ডার ব্যাটার। তবে একান্ত সাক্ষাৎকারে নিজের অনুপ্রেরণা সম্পর্কে কথা বলেছেন ডেইলি স্টারের আবদুল্লাহ আল মেহেদির সঙ্গে। তার বিশেষ কিছু অংশ তুলে ধরা হলো পাঠকদের জন্য।

দ্য ডেইলি স্টার: আপনার ঈদের ছুটি এখন পর্যন্ত কেমন কাটছে?

জাকের আলী: সত্যি বলতে কি আমি ঈদের দিনগুলো স্বাভাবিকভাবেই কাটাই। ছোটবেলা থেকে হবিগঞ্জ থেকে দূরে থাকার কারণে এখানে আমার খুব বেশি বন্ধু নেই। হয়তো দুই বা তিনজন বন্ধু আসবে কিন্তু এটা বড় কিছুর মতো নয়। ঈদের সময় আমি মানুষের হকগুলো আদায় করার চেষ্টা করি।

আমার এক বড় ভাই আছে। আমি আর আমার ভাই একসঙ্গে নামাজ পড়তে যাই। যদিও অনেক হাইলাইট নেই, তবুও আমরা পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারি। এই ঈদটা একটু স্পেশাল যেহেতু আমার এখন বাচ্চা হয়েছে, তাই সবাইকে আমার বাসায় আসতে বলেছি। এটা খুব বিশেষ কিছু।

স্টার: আপনি কি আপনার শহরে বড় হওয়ার অনেক সুযোগ পেয়েছেন?

জাকের: আসলে আমার বেশিরভাগ বন্ধুই দেশের বাইরে এবং ছোটবেলা থেকেই আমি হবিগঞ্জ থেকে দূরে থাকি। বিকেএসপিতে পড়তাম।

স্টার: বিকেএসপিতে থাকাকালীন, অবশ্যই জাতীয় দলের অনেক তারকাদের সঙ্গেই আপনার যোগাযোগ ছিল।

জাকের: বিকেএসপির বড় অবদান রয়েছে এবং আমার মনে হয় সেখানেই একটি বড় স্বপ্নের বীজ বপন হয়েছিল। আগে, আমি এই সব করার বিষয়ে বড় স্বপ্নের কথা ভাবিনি। সেখানে দারুণ প্রশিক্ষণ পেয়েছি। মুশফিক ভাই আসতেন, সাকিব ভাইও আসতেন। লিটন দা আমাদের সাথে ছিলেন, আমার থেকে দুই ব্যাচ সিনিয়র এবং সৌম্য দাও ছিলেন।

স্টার: শুরু থেকেই আপনার প্রিয় ক্রিকেটার ছিলেন মুশফিকুর রহিম। সাকিব আল হাসানের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল?

জাকের: আমি ছোট বেলা থেকেই মুশফিক ভাইকে ফলো করি। যেটা আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রাণিত করে তা হল তার শৃঙ্খলা। এখন এই ঈদের ছুটিতেও ব্যাটিং করছেন। এটি আপনার ডেডিকেশন এবং খেলার প্রতি ভালবাসা। আমি এমন কিছুই অনুভব করি; অনুশীলন ছাড়া থাকতে পারি না। আমি মনে করি আমার লক্ষ্য পূরণের জন্য যে কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন যা তাদের কাছ থেকে এসেছে। এটাই একজন খেলোয়াড়ের সবচেয়ে বড় শক্তি। যে কাজটি করতে হবে তা নিয়ে ব্যস্ত থাকলে আপনি ভালো করছেন, নাকি খারাপ করছেন তা নিয়ে ভাববেন না। আমিও একই অনুভব করছি।

সাকিব ভাইকে দলে তেমন পাইনি। দূর থেকে, আমি যা দেখেছি তা আমি সত্যিই ভালো লাগার। তবে আমি তার সঙ্গে খেলতে চাই এবং আমি সবার সঙ্গে কথা বলেছি এবং তারা বলেছে যে সে অনেক মজার কাজ করে এবং অনেক সাহসও দেয়। এই অভিজ্ঞতা আমিও চাই।

স্টার: পরিবারের ছোটদের জন্য উপহার দিয়েছেন?

জাকের: আমার ভাগ্নির জন্য উপহার দিতে পারেনি তবে আমি তাদের সালামি পাঠিয়েছি। তারা যা চাইবে তা কিনে নিবে (হাসি)।

স্টার: আপনি কি এখনও সালামি সংগ্রহ করেছেন?

জাকের: না আসলে আমার সালামি সংগ্রহ করার বয়স নেই (হাসি)। এখন শুধুই সালামি দিচ্ছি।

Comments

The Daily Star  | English
Unhealthy election controversy must be resolved

Unhealthy election controversy must be resolved

Just as the fundamental reforms are necessary for the country, so is an elected government.

15h ago