জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ‘সিরিজটা এত সহজ হবে না’
একটা কথা চালু আছে। যখনই বাংলাদেশের ক্রিকেটের খারাপ সময় যায়। তখনই নাকি খেলা পড়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। দারুণ পারফরম্যান্সে খারাপ সময় তাতে উড়িয়ে দেন ক্রিকেটাররা। সব সময় হয়ত কথাটা সত্য নয়। কারণ এফটিপিতে সূচি নির্ধারণ থাকে বেশ আগেই। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঘন ঘনই সেই সূচি পড়ে বাংলাদেশের। এবার যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে দেখা হচ্ছে এই সিরিজ, তখন যেমন প্রশ্ন উঠছে যারা বিশ্বকাপই নেই তাদের বিপক্ষে খেলে আর কতটা প্রস্তুত হওয়া যাবে।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত অবশ্য এমনটা মনে করছেন না। এই সিরিজে বরং তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঝাঁজই দেখতে পাচ্ছেন তিনি।
শুক্রবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। এই সিরিজ সামনে রেখে ২৬ এপ্রিলে চট্টগ্রামে এসে বিশেষ ক্যাম্প করেছে বাংলাদেশ দল। টানা অনুশীলন, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের মধ্যে ছিলেন ক্রিকেটাররা। বুধবার ছুটির পর বৃহস্পতিবারও ছিলো ঐচ্ছিক অনুশীলন।
এদিন মাঠে অনুশীলন করেছেন ৬ ক্রিকেটার। অধিনায়ক শান্ত এসেছিলেন স্রেফ সংবাদ সম্মেলনের জন্য। সেখানে তার কাছে শুরুতেই জানতে চাওয়া, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলে কতটা আদর্শ প্রস্তুতি হবে তাদের? বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন নিজেদের ভাবনা, 'টি-টোয়েন্টিতে বড় দল, ছোট দল নেই। আপনি যেটা বললেন, জিম্বাবুয়ে উগান্ডার কাছে হেরে গেছে। এই জিম্বাবুয়ে কিন্তু কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে। ওইরকম চিন্তা করলে খুব বেশি পার্থক্য মনে হয় না। এখানে ম্যাচটা আমরা কীভাবে খেলছি, কীভাবে প্রস্তুত হচ্ছি, নিজেদের আত্মবিশ্বাস কীভাবে গড়ে তুলছি…। এতটুকু বলতে পারি, সিরিজটা এত সহজ হবে না। অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ সিরিজই হবে। কারণ তারাও অনেক ভালো দল।'
বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে দুই দলই একটা জায়গায় সমান। সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুই দলই ২-১ ব্যবধানে হেরেছে শ্রীলঙ্কার কাছে। বাংলাদেশ হেরেছে ঘরের মাঠে, জিম্বাবুয়ে লঙ্কানদের মাঠে। দুই দলের সর্বশেষ ছয় দেখাতেও সমানে সমান। ৩টা করে জিতেছে দুই দলই।
এদিক থেকে শান্তর কথায় হয়ত যুক্তি আছে। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সব শেষবার খেলার পর বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আরও বিকশিত হয়েছে। ২০২৩ সালে ইংল্যান্ড, আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয় আছে। নিউজিল্যান্ডের মাঠে গিয়েও জিতেছে বাংলাদেশ। এদিক থেকে স্বাগতিক দলকেই এগিয়ে রাখতে হয়।
শান্তর লক্ষ্য বিশ্বকাপে সুন্দর প্রস্তুতির সঙ্গে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ জয়, 'প্রথমত অধিনায়ক হিসেবে এই সিরিজটা জিততে চাই। এটাই প্রথম লক্ষ্য। আর প্রস্তুতি তো অবশ্যই, ওটা আমাদের মাথায় থাকবে। প্রস্তুতি নিতে গিয়ে যে আমরা খেলাটা হালকাভাবে দেখব কিংবা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবো, তাও না। পরীক্ষা নিরীক্ষার প্রয়োজন হবে না এ কারণে যে ১৫ টা খেলোয়াড় এখানে আছে সবাই সামর্থ্যবান এই দলকে হারানোর জন্য। প্রস্তুতি বলব না। আমি বলব সুন্দর প্রস্তুতি এবং কোন কোন জায়গায় ভালো প্রস্তুতি নিয়ে যেন আমরা বিশ্বকাপে যেতে পারি।'
Comments