লিটনের পরিশ্রমের ঘাটতি দেখছেন না ব্যাটিং কোচ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্লেসিং মুজারাবানির ভেতরে ঢোকা বল সামলাতে না পেরে ১ রান করে বোল্ড হন বাংলাদেশের ওপেনার। বাংলাদেশ বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতলেও লিটনের রান না পাওয়া তৈরি করেছে এক ধরণের অস্বস্তি। 
Litton Das
লিটন দাসের হতাশা। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

'খারাপ সময়ে থাকলে যা হয়, পুরো দিনে ওদের সেরা বলটাই পড়ল লিটনের ভাগ্যে, আরেকজন তিনবার ক্যাচ দিয়েও জীবন পেয়ে করল ফিফটি।' লিটন দাসের রান না পাওয়া দল সংশ্লিষ্ট একজন আক্ষেপ করে বলছিলেন এমনটা।

খারাপ সময়টা আসলে আষ্টেপৃষ্ঠে ঝেঁকে ধরেছে লিটনকে। ওয়ানডে, টেস্টের পর টি-টোয়েন্টি। তিন সংস্করণে সর্বশেষ ১০ ইনিংসে ফিফটির দেখা নাই। আউটও হয়ে যাচ্ছেন দ্রুত।

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ব্লেসিং মুজারাবানির ভেতরে ঢোকা বল সামলাতে না পেরে ১ রান করে বোল্ড হন বাংলাদেশের ওপেনার। বাংলাদেশ বড় ব্যবধানে ম্যাচ জিতলেও লিটনের রান না পাওয়া তৈরি করেছে এক ধরণের অস্বস্তি।  বিশ্বকাপে ভালো করতে লিটনের ছন্দে ফেরা জরুরি। টিম ম্যানেজমেন্ট চায় তিনি রানে ফিরুন।

শনিবার কোন অনুশীলন রাখেনি বাংলাদেশ। তবে চোট কাটিয়ে পুনর্বাসনে থাকা সৌম্য সরকারকে নিয়ে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এসেছিলেন ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প। সেখানে শুরুতেই তাকে জবাব দিতে হয় লিটন প্রসঙ্গে। হেম্প জানান, রান পাওয়ার জন্য যা করার সবই করছেন লিটন, 'সে হয়ত রান পাচ্ছে না কিন্তু নিজের খেলাটা নিয়ে সে অনেক পরিশ্রম করছে। এটাই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সে প্রতিনিয়ত আরও ভালো হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্লেয়াররা এমন সময়ের মধ্য দিয়ে যাবে কখনও তারা রান করবে কখনও আবার করবে না। এখন হয়ত সে অতটা ধারাবাহিক নয়। তবে সে এটি নিয়ে কাজ করছে এবং কঠোর পরিশ্রম করছে। এটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।'

পরিশ্রম করেও কেন তবে ফল মিলছে না। হেম্প জানান নতুন বলে অনেক সময় পরিস্থিতি হয়ে যায় কঠিন। মুজারাবানির তেমনই ভেতরে ঢোকা এক ডেলিভারি তাকে যেমন গতকাল কাবু করে দেয়,' আসলে কাজটি অনেক কঠিন। নতুন বল অনেক সময় এদিক-সেদিক করে গত রাতে যা করল। এখানে ব্যাট করাটা কঠিন কারণ নতুন বলের চ্যালেঞ্জ থাকে। তবে সে কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে এগিয়ে যাওয়ার জন্য এবং এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।'

রোববার সেরা ছন্দে ফেরার আরেকটি সুযোগ পাবেন লিটন। তার ব্যাটের দিকে তাকিয়ে থাকবেন অনেকেই।

Comments

The Daily Star  | English
Impact of esports on Bangladeshi society

From fringe hobby to national pride

For years, gaming in Bangladesh was seen as a waste of time -- often dismissed as a frivolous activity or a distraction from more “serious” pursuits. Traditional societal norms placed little value on gaming, perceiving it as an endeavour devoid of any real-world benefits.

18h ago