চ্যালেঞ্জে না পড়ার অস্বস্তিও আছে!

Sikandar Raza
ম্যাচ শেষে সৌজন্য বিনিময় করছেন দুই অধিনায়ক। ছবি: ফিরোজ আহমেদ/স্টার

জিম্বাবুয়ের ব্যাটাররা যেভাবে বোতলবন্দি হয়ে কাবু হচ্ছেন, বাংলাদেশের বোলারদের আসলে বিশেষ কিছু করতেই হচ্ছে না। প্রথম দুই ম্যাচেই দেখা গেছে একই চিত্র। দল সংশ্লিষ্ট একজন তাই বলছিলেন, 'হেনরিক ক্লাসেনকে বল করতে যে চ্যালেঞ্জ তার ছিটেফোঁটাও তো এখানে নেই।'

অনুমিতই ছিলো, নিজেরা ভুল না করলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হারাই বরং কঠিন। এক সময় ঠেক্কা দিলেও সাম্প্রতিক সময়ে একদম নড়বড়ে দেখাচ্ছে আফ্রিকার চেনা প্রতিপক্ষকে। উগান্ডার কাছে হেরে ২০ দলের বিশ্বকাপেও থাকতে না পারা অনেক বড় ব্যর্থতা, সেই বড় ব্যর্থতার গুহায় এখনো ঘুরপাক খাচ্ছে তারা। দু'একজন আলোর ঝলকানি দেন বটে, তবে তাতে ঠিকঠাক লড়াইয়ের অবস্থাও তৈরি হয় না।

প্রথম ম্যাচে তাসকিন আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনরা ঝাঁজ দেখিয়েছিলেন সহজে। তাসকিন পরের ম্যাচেও ধরে রাখেন ছন্দ। দলে ফেরা সাইফুদ্দিন এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও যখন শেষ ওভারে ১৮ রান দেন তখন তাকে নিয়ে সংশয়হীন হওয়ার জায়গা তাই নেই। রিশাদ হোসেন দ্বিতীয় ম্যাচে দুই উইকেট পেয়েছেন বটে, তবে কোন ম্যাচেই তার বোলিং বিশেষ কিছু মনে হয়নি। শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তিনি হতে পারেন সহজ টার্গেট।

বোলারদের কাজ এতই সহজ হচ্ছে যেন এসএসসি পরীক্ষার্থীর সামনে পঞ্চম শ্রেণীর প্রশ্ন পত্র। মুশকিল হচ্ছে এই পরীক্ষায় লেটার মার্কস পেয়ে পাশ করে গেলে আসল পরীক্ষায় গিয়ে বাড়তে পারে বিপদ। আচমকা কঠিন প্রশ্ন এলোমেলো করে দিতে পারে আত্মবিশ্বাসের জমিন।

ব্যাটাররাও দুই ম্যাচেই পেয়ছেন সহজ লক্ষ্য। এখানে বিপদের কথা আরও বেশি যে এতেও ঠিক সাবলীল দেখা যায়নি তাদের। প্রথম ম্যাচে প্রতিপক্ষের বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগে তাও দাপট দেখানো গেছে। দ্বিতীয় ম্যাচে শঙ্কার মেঘ দূর করতে জিততে হয়েছে। ব্যাট করার জন্য বেশ ভালো উইকেটে কেমন একটা আড়ষ্ট ব্যাটিং। লিটন দাস যেমন শুরুটা করলেন চনমনে। পরে কি চিন্তায় যেন কুঁকড়ে গেলেন। ৯ বলে ১৭ থেকে আউট হলেন ২৫ বলে ২৩ করে!

একটি করে ছক্কা মেরেও তানজিদ তামিম (১৯ বলে ১৮), নাজমুল হোসেন শান্ত (১৫ বলে ১৬), জাকের আলি (১২ বলে ১৩) বুঝিয়ে দেয় কতটা অস্বস্তি ছিল তাদের ব্যাটিংয়ে। বিশ্বকাপের আগে যেটা ভীষণ জরুরি সেই ফুরফুরে হাওয়া অনুপস্থিত। বাকি তিন ম্যাচে সেটা পাওয়া যায় কিনা দেখার বিষয়। না হলে অস্বস্তি তাড়া করবে বিশ্বকাপ পর্যন্ত। 

Comments

The Daily Star  | English

Scorched at work: Global report revealed dire heat risks for workers

A joint report released by the World Health Organisation (WHO) and the World Meteorological Organisation (WMO) exposed the growing dangers of extreme heat on workers’ health and productivity worldwide.

34m ago