'হারলে বলবেন জিম্বাবুয়ের কাছে হারছে'

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এবারও বিশ্বকাপে নেই জিম্বাবুয়ে। এক সময়ের শক্তিশালী দলটি এখন অনেকটাই খর্ব শক্তির। তাদের বিপক্ষে বিশ্বকাপের আগে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে টাইগাররা। প্রথম তিন ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করলেও কোনো ধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষায় যায়নি টিম ম্যানেজমেন্ট। সাকিব-মোস্তাফিজদের ফিরিয়ে  শেষ দুই ম্যাচে শক্তি বাড়িয়েছে আরও।

চট্টগ্রামে সিরিজে প্রথম দুই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং করে বাংলাদেশ। বোলারদের দাপুটে পারফরম্যান্সে সে দুই ম্যাচ সহজেই জেতে টাইগাররা। তৃতীয় ম্যাচে টস হারে স্বাগতিকরা। তাই আগে ব্যাটিংয়ে নামে দলটি। কিন্তু প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি তারা। ১৬৬ রানের লক্ষ্য দিয়ে সেই ম্যাচে তারা কোনোমতে জয় পায় ৯ রানে। তাতে ব্যাটারদের সামর্থ্য নিয়ে আবারও নানা প্রশ্ন উঠেছে।

এরমধ্যেই শেষ দুই ম্যাচের দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ। বিশ্রাম থেকে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। চোট কাটিয়ে ফিরেছেন সৌম্য সরকারও। অন্যদিকে কোনো ম্যাচ না খেলিয়ে বাদ দেওয়া হয় তরুণ পারভেজ হোসেন ইমন ও আফিফ হোসেন ধ্রুবকে। অথচ বিশ্বকাপের সামনে তাদের যাচাই করে দেখতে পারতো বাংলাদেশ।

স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে জিম্বাবুয়ে সিরিজে আসলে বাংলাদেশের লক্ষ্য কি। এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ দলের পেসার তাসকিন আহমেদ বললেন, 'মূল লক্ষ্য তো বিশ্বকাপ। দলগত আর ব্যক্তিগতভাবে যদি সবাই ৫-১০ শতাংশ উন্নতি নিয়েও বিশ্বকাপে যেতে পারি, তাহলে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারব। আমাদের শুরুটাও বেশ গুরুত্বপূর্ণ হবে। যতই কথা হচ্ছে জিম্বাবুয়ে নিয়ে, আবার যদি একটা ম্যাচ হেরে যাই, তাহলে কিন্তু আরও অন্য রকম কথা হবে যে, 'জিম্বাবুয়ের সাথে হারছে'।

'জিতলে আমরা ক্রেডিটটা কম পাই ছোট দলের সঙ্গে খেললে, হারলে আবার বলবে 'জিম্বাবুয়ের সাথে হেরে গেছে'! দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের অনেক কথাই শুনতে হয়। কিন্তু যখন খেলতে নামি, যে প্রতিপক্ষই হোক, আমরা চেষ্টা করি সেরাটা দিতেই। কখনো ভালো হয়, কখনো খারাপ হয়। উন্নতির ধারাটা রেখে সবাই খেলার চেষ্টা করি। সবার এটাই লক্ষ্য যে বিশ্বকাপে কীভাবে ভালো করা যায়,' যোগ করেন তাসকিন।

প্রতিপক্ষ যেমনই হোক নিজেদের সর্বোচ্চটা দিতে কোনো কৃপণতা করেন না বলে জানান এই পেসার, 'আমরা যারা খেলোয়াড় আছি, আমাদের কাজ কিন্তু যেখানেই খেলি সর্বোচ্চটা দিয়ে ভালো পারফর্ম করা। অনেক কিছু আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই, কন্ডিশন, প্রতিপক্ষ। আমরা যারা খেলোয়াড় যখনই, যেখানে খেলতে নামি সেরাটা দেই, এমনকি যখন বিপিএলে খেলতে নামি, ভালো খেলারই চেষ্টা করি।'

Comments

The Daily Star  | English
rohingya-migration

Rohingyas fleeing Arakan Army persecution

Amid escalating violence in Myanmar’s Rakhine State, Rohingyas are trespassing into Bangladesh every day, crossing the border allegedly to escape the brutality of Myanmar’s rebel group, the Arakan Army (AA).

4h ago