বেনেটের ব্যাটে ভালো অবস্থানে জিম্বাবুয়ে

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরু থেকেই টাইগার বোলারদের উপর চড়াও হন ব্রায়ান বেনেট। চার ওভারেই বিনা উইকেটে ৩৮ রান তুলে নেয় জিম্বাবুয়ে। এরপর অবশ্য অপর প্রান্তে আঘাত হেনে তাদের রানের গতিতে লাগাম টানতে পেরেছে বাংলাদেশ। তারপরও ইনিংসের মাঝপথে ভালো অবস্থানেই আছে সফরকারী দলটি।
রোববার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করছে জিম্বাবুয়ে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৬২ রান তুলেছে তারা। বেনেট ৪১ ও অধিনায়ক সিকান্দার রাজা ১৮ রানে উইকেটে আছেন।
এরমধ্যেই সিরিজের প্রথম চার ম্যাচ হেরে সিরিজ খুইয়েছে জিম্বাবুয়ে। এদিন হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর মিশনে শুরুটা ভালো হয়েছে তাদের। আগের দুই ম্যাচে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে সংগ্রাম করলেও এদিন বেনেটের ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখছে দলটি। তাকে ভালো সঙ্গ দিচ্ছেন অধিনায়ক রাজাও।
এদিন ইনিংসের প্রথম চার ওভারে ৩৮ রান খরচ করা বাংলাদেশ পঞ্চম ওভারে এসে সাফল্য পায়। নিজের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে প্রথম বলেই স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন তাদিওয়ানশে মারুমানিকে। সাকিবের ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে উইকেট ছেড়ে এগিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন এই ব্যাটার। কিন্তু লাইন মিস করলে স্টাম্প ভাঙেন উইকেটরক্ষক জাকের আলী। ৭ বলে ১ রান করেন মারুমানি।
এরপর অধিনায়ক রাজার সঙ্গে দলের হাল ধরেছেন বেনেট। তবে কিছুটা শান্ত হয়ে আসে তার ব্যাট। রাজাও দেখে শুনে শুরু করেন। তবে সাইফউদ্দিনের করা অষ্টম ওভারে টানা দুই বলে ছক্কা ও চার মেরে রানের গতি বাড়ানোর চেষ্টা করেন। এখন পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন ২৪ রানের জুটি গড়েছেন এ দুই ব্যাটার।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে প্লেতেই তিন উইকেট হারিয়ে বড় চাপে পড়ে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে ৯ রান পেলেও এরপর টানা দুই ওভারে মেইডেন উইকেট। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে পুল করতে গিয়ে টপএজ হয়ে আকাশে তুলে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ক্যাচে পরিণত হন তানজিদ হাসান তামিম (২)।
পরের ওভারে ব্রায়ান বেনেটের শর্ট ডেলিভারিতে কাট করতে গিয়ে সৌম্যর ব্যাটের কানায় লেগে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সহজ ক্যাচ চলে যায় শন উইলিয়ামসের হাতে। ৭ বলে ৭ রান করেন সৌম্য। আর বেনেটের অফ স্টাম্পের বাইরে রাখা বলে কাট করতে গেলে ব্যাটের কানায় লেগে কট বিহাইন্ড হয়ে যান শুরু থেকেই সংগ্রাম করতে থাকা তাওহিদ হৃদয়। ৬ বলে ১ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
১৫ রানে তিন উইকেট হারালেও নেমেই জিম্বাবুয়ের উপর চড়াও হন মাহমুদউল্লাহ। বেনেটের সেই ওভারেই টানা তিনটি বাউন্ডারি মারেন তিনি। অন্যদিকে খোলস ভাঙতে শুরু করেন শান্তও। দারুণ কিছু বাউন্ডারি আদায় করে নেন তিনিও। চতুর্থ উইকেটে ৬৯ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার।
শান্তকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন ওয়েলিংটন মাসাদাকজা। তার আগের বলেই দারুণ এক ছক্কা হাঁকান শান্ত। পরের বলে সুইপ করে আরও একটি বাউন্ডারি আদায় করতে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছেন রায়ান বার্লের হাতে। অধিনায়কের বিদায়ের পর সাকিবকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। পঞ্চম উইকেটে ৩৯ রানের জুটি গড়েন তারা।
এরপর অবশ্য পাঁচ রানের ব্যবধানে ফিরে যান দুই ব্যাটারই। লংঅন থেকে মিড উইকেটে ছুটে সাকিবের ক্যাচ দারুণ দক্ষতায় ধরেন জনাথন ক্যাম্পবেল। আর কাভার থেকে পেছন দিকে দৌড়ে মাহমুদউল্লাহর ক্যাচ নেন সিকান্দার রাজা। এরপর শেষ দিকে জাকের আলী আগ্রাসী হলে চ্যালেঞ্জিং পুঁজিই পায় বাংলাদেশ। শেষ পাঁচ ওভারে ৫২ রান যোগ করে টাইগাররা।
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটি তুলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন মাহমুদউল্লাহ। ২২ বলে ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ২৮ বলে ৩৬ রান করেন শান্ত। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ১টি ছক্কা। ১১ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ২৪ রান করেন জাকের আলী। ২১ রান আসে সাকিবের ব্যাট থেকে। জিম্বাবুয়ের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন মুজারাবানি ও বেনেট।
Comments