প্লে অফ নিশ্চিতের লড়াইয়ে কোহলি-ধোনিদের যে সমীকরণ

কলকাতা নাইট রাইডার্স ও রাজস্থান রয়্যালসের প্লে-অফে থাকা নিশ্চিত হয়ে গেছে আগেই। কলকাতার সেরা দুইয়ে থাকাও নিশ্চিত। সেরা দুইয়ের আরেকটি জায়গার মীমাংসা হওয়া বাকি এখনও। রাজস্থানের সঙ্গে চেন্নাই সুপার কিংস ও সানরাইজসার্স হায়দরাবাদেরও সুযোগ আছে প্রথম কোয়ালিফায়ারে জায়গা করে নেওয়ার। এই দলগুলোর সঙ্গে চতুর্থ স্থানের লড়াইয়ে আবার যোগ দিচ্ছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
হায়দরাবাদ
১৩ ম্যাচে তাদের ১৫ পয়েন্ট, নেট রানরেট ০.৪০৬। শেষ ম্যাচটি পাঞ্জাবের বিপক্ষে। ঘরের মাঠের সে ম্যাচে তারা জিতে গেলেও তাদের পয়েন্ট হবে ১৭, সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্থানের জন্য এখন ১৬ পয়েন্টে থাকা রাজস্থানের হার কামনা করবে তারা। কিন্তু ম্যাচটি যদি বৃষ্টিতে পণ্ড হয়ে যায়, তাহলে রাজস্থান হেরে গিয়ে ১৬ পয়েন্টে থাকলেও সমান পয়েন্ট নিয়ে হায়দরাবাদ দ্বিতীয় স্থানের মালিক হবে না। এক্ষেত্রে সমান পয়েন্টের পর কার জয় বেশি, সেই হিসাব চলে আসে। হায়দরাবাদের শেষ ম্যাচ মাঠে না গড়ালে তাদের জয় হবে সাতটি, অন্যদিকে রাজস্থানের আটটি।
রাজস্থান
১৩ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট, নেট রানরেট ০.২৭৩। কলকাতার বিপক্ষে শেষ ম্যাচ জিতে গেলে তো দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত। হেরে গেলেও তা হয়ে যাবে যদি না হায়দরাবাদ ও চেন্নাই তাদের শেষ ম্যাচে এক পয়েন্টের বেশি না পায়। চেন্নাইয়ের ১৪ পয়েন্ট হলেও নেট রানরেটে তারা এগিয়ে। তবে রাজস্থানের একেবারে চারে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনাও আছে। সেক্ষেত্রে তিনটা ম্যাচের ফলাফল অবশ্য এমন হওয়া চাই- রাজস্থান হেরে যাবে কলকাতার সঙ্গে, পাঞ্জাবকে হারিয়ে দেবে হায়দরাবাদ, চেন্নাই জিতবে বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে।
বেঙ্গালুরু
১৩ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট, নেট রানরেট ০.৩৮৭। ফাফ ডু প্লেসির দলের হিসাব সহজ। জয় আগে, পরে বাকিসব হিসাবনিকাশ। জিততেও হবে আবার বড়সড়- ২০০ রানের স্কোর ধরে নিয়ে বেঙ্গালুরুকে ১৮ রানে অথবা কমপক্ষে ১১ বল হাতে রেখেই জিততে হবে।
চেন্নাই
১৩ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট, নেট রানরেট ০.৫২৮। প্লেঅফে যেতে এক পয়েন্টেরই দরকার চেন্নাইয়ের। তার মানে বৃষ্টিতে ম্যাচ ভেসে গেলে চেন্নাইয়ের অখুশির কিছু থাকবে না। তবে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা পাওয়ার সুযোগ তাদের হাতছানি দিচ্ছে। সেজন্য জিততে তো হবেই, রাজস্থানের হারের দিকে যেমন তাকিয়ে থাকতে হবে, হায়দরাবাদের হার কিংবা এক পয়েন্টের বেশি না পাওয়ার কামনাও করতে হবে
Comments