কেন ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার প্রস্তাবে সায় দিলেন না পন্টিং?

Ricky Ponting

২০২১ বিশ্বকাপের পর ভারত দলের হেড কোচ হিসেবে রবি শাস্ত্রীর সময় ফুরিয়ে যায়। এরপর রাহুল দ্রাবিড়কে সে পদে নিয়োগ দেয় বিসিসিআই। তার আগে যদিও রিকি পন্টিংকে হেড কোচের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ভারতীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে। ভারতের বর্তমান প্রধান কোচ দ্রাবিড়ের চলতি মেয়াদ সমাপ্ত হবে আসন্ন বিশ্বকাপ শেষেই। নতুন কোচের খোঁজে নামা ভারত আবার দিয়েছে পন্টিংকে প্রস্তাব। তবে এবারও সায় দেননি অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক।

আইসিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রস্তাব পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন পন্টিং, 'আমি এটা নিয়ে অনেক রিপোর্ট দেখেছি। সাধারণত এসব জিনিষ সোশ্যাল মিডিয়ায় চলে আসে আপনি জানার আগেই। কিন্তু ছোট কিছু একান্তে আলাপ হয়েছিল আইপিএলের সময়ে, শুধু আমি এটা (কোচিং) করবো কিনা সেটা সম্পর্কে আগ্রহের মাত্রা বুঝতে চেষ্টা করা হয়েছিলো।'

ভারত দলের হেড কোচ হওয়া ছোটখাটো বিষয় নয় মোটেও। পরপর দুবার সেই সুযোগ হাতছাড়া করার পেছনে কী কারণ তাহলে পন্টিংয়ের? আগে যেসব কারণ ছিল, এবারও সেসব কারণই জানিয়েছেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক, 'আমি জাতীয় দলের সিনিয়র কোচ হতে চাই। কিন্তু বাকি যা জিনিস আছে আমার জীবনে এবং বাড়িতে সময় কাটানোর ইচ্ছাই কারণ। সবাই জানে আপনি ভারতীয় দলের সঙ্গে চাকুরিতে থাকলে আইপিএলের কোনও দলে জড়িত হতে পারবেন না। তো এটা (হেড কোচের চাকরি) এই বিষয়টাকেও বাইরে ফেলে দেয়।'

'এছাড়া, জাতীয় দলের কোচের চাকরি করতে হবে বছরের দশ অথবা এগারো মাস। তা করতে আমি যতটুকুই পছন্দ করি না কেন, এটা আমার জীবনযাপনের সঙ্গে এখন যাচ্ছে না, এবং যেসব জিনিস আমি বেশ উপভোগ করি, সেসবও করা যাবে না। আমার মনে হয়, যেসব কারণ দেখালাম সেসবের জন্য আমার থাকার সম্ভাবনা নেই।'

আইপিএলের শেষ সাত আসর ধরে দিল্লি ক্যাপিটালসের হেড কোচ হিসেবে কাজ করছেন পন্টিং। আড়াই থেকে তিন মাসের এই কাজের বাইরে অস্ট্রেলিয়ান গ্রীষ্মে তাকে ধারাভাষ্যেও দেখা যায়। যেখানে হেড কোচ হলে বছরের প্রায় সবটুকুই ঘরের বাইরে কাটাতে হবে। যদিও তার দশ বছর বয়সী ছেলে ফ্লেচার উইলিয়াম পন্টিংয়ের তাতে আপত্তি নেই।

ভারতের কোচ হওয়ার প্রস্তাব শুনতেই নাকি ছেলে রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। গল্পটা পন্টিং শুনিয়েছেন এভাবে, 'আমার পরিবার এবং বাচ্চারা শেষ পাঁচ সপ্তাহ আমার সঙ্গেই আইপিএলে কাটিয়েছে এবং তারা প্রত্যেক বছরেই এখানে (ভারতে) আসে এবং আমি এটা (ভারতের হেড কোচের প্রস্তাব) নিয়ে আমার ছেলের কানে একটু ফিসফিস করেছিলাম। আমি বলেছিলাম, "তোমার বাবা ভারতের কোচ হওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন।" সে তখন বলে, "নিয়ে নাও বাবা, আমরা আগামী দুই বছর এখানে পাড়ি জমাতে বেশ পছন্দ করবো।" এতটাই তারা এখানে আসতে ভালোবাসে কিন্তু এখন এই চাকুরি সম্ভবত আমার জীবনচর্যার সঙ্গে ঠিকঠাক খাপ খায় না।

Comments

The Daily Star  | English
10-bed ICU

Life-saving care hampered in 25 govt hospitals

Intensive Care Units at 25 public hospitals across the country have remained non-functional or partially operational over the last few months largely due to a manpower crisis, depriving many critically ill patients of life-saving care.

9h ago