আরও দশ বছর খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন, মনে হয় অ্যান্ডারসনের
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিশ বছরের বেশি সময়ের খেলোয়াড়ি জীবন জেমস অ্যান্ডারসনের। ক্যারিয়ারে ইতি টানার দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে ফেলেছেন এই কিংবদন্তি। চলতি বছরে জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টই হবে তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। চল্লিশ বছর পার করেও দীর্ঘদিন খেলে যাওয়া এই পেসার অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ঠিক। তবে এখনও নাকি তার অনুভব হয়, তিনি আরও দশ বছর খেলা চালিয়ে যেতে পারবেন।
একজন পেসার হয়েও যে এত লম্বা সময় ধরে সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলে যেতে পেরেছেন, সেটিই এক আশ্চর্যজনক বিষয়। কিন্তু খেলাটাকে যে কত ভালোবাসেন, সেটা টেইলেন্ডার্স পডকাস্টে বলা আরেকটি কথায় স্পষ্ট হয়ে যায়। সাদা পোশাকে ৭০০ উইকেটের মালিক বলেন, 'কিছু দিনে আমি ঘুম থেকে উঠি আর আশা করি যে অবসরে যাচ্ছি না। ৯০ শতাংশ সময়ে আমি এটা (অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত) নিয়ে খুশি। খুব বেশি লোক তো নেই যারা খেলাধুলায় চল্লিশের বেশি বয়সের পর অবসর নিতে পেরেছেন। আমি খুশি যে এত দূর পর্যন্ত আসতে পেরেছি।'
৪২ বছর পূর্ণ করে ফেলার কাছাকাছি চলে আসা ইংলিশ পেসার বলেন, 'আমার মাথায় এমন ভাবনা আসে যে আমি আরও ১০ বছর খেলে যেতে পারব। অবশ্যই আমি বুঝতে পারি এটা বাস্তবে সম্ভব না।'
২০২২ সালে অ্যাশেজে ভরাডুবির পর অ্যান্ডারসনকে বাদ দেওয়া হয়েছিল পরবর্তী সফরেই, সঙ্গে স্টুয়ার্ট ব্রডকেও। জো রুট ও ক্রিস সিলভারউডের ম্যানেজমেন্ট বদলে যাওয়ার পর আবার তাদের দলে জায়গা হয় ওই বছরেই। বেন স্টোকস ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম মিলে দুই অভিজ্ঞ পেসারকে ফেরান দলে। অ্যান্ডারসনের পরে ক্যারিয়ার শুরু করা ব্রড গত অ্যাশেজ শেষেই অবসরে চলে গেছেন। ম্যাককালাম ও স্টোকসের ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে কিছুদিন আগে আন্ডারসনকে বলা হয়েছিল, তারা ভবিষ্যতে চোখ রাখতে চান। কোচ ও অধিনায়কের সাথে আলাপের পরই ১৮৭ টেস্ট খেলা এই পেসার তার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।
টেস্ট ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার তালিকায় তাই দ্বিতীয় স্থানেই থাকবেন অ্যান্ডারসন। ২০০ টেস্ট নিয়ে সবার উপরে শচীন টেন্ডুলকার। ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে পেসারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড ২০০৩ সালে অভিষিক্ত অ্যান্ডারসনের। সবমিলিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় তার সামনে শুধু মুত্তিয়া মুরালিধরন (৮০০ উইকেট) ও শেন ওয়ার্ন (৭০৮)।
ওয়ার্নকে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য একটা ম্যাচই আছে ইংল্যান্ডের কিংবদন্তির হাতে। অবশ্য কোনও অলৌকিক ক্ষমতায় সম্ভব হলে, অ্যান্ডারসন বোধহয় কখনোই অবসরে যেতে চাইতেন না!
Comments