যুক্তরাষ্ট্রকে ১৪৪ রানে আটকে দিল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের বোলাররা দারুণ পারফর্ম করলেন ইনিংসের দ্বিতীয় অংশে। শেষ ৮ ওভারে আঁটসাঁট থেকে তারা দিলেন মাত্র ৫৮ রান।

ভালো শুরু পাওয়া যুক্তরাষ্ট্র চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পাওয়ার মঞ্চ তৈরি করছিল। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে বাংলাদেশের বোলাররা দারুণ পারফর্ম করলেন ইনিংসের দ্বিতীয় অংশে। শেষ ৮ ওভারে আঁটসাঁট থেকে তারা দিলেন মাত্র ৫৮ রান। ফলে দেড়শর নিচেই আটকে গেল সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকা আমেরিকানরা।

বৃহস্পতিবার টেক্সাসের হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে স্বাগতিকরা তুলেছে ৬ উইকেটে ১৪৪ রানের সাদামাটা সংগ্রহ।

বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ব্যবহার করেন পাঁচ বোলার। রিশাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান দুটি করে উইকেট নেন যথাক্রমে ২১, ২৯ ও ৩১ রানে। একাদশে ঢোকা ডানহাতি পেসার তানজিম হাসান সাকিব উইকেটশূন্য থাকলেও ২৩ রানের বেশি দেননি।

কোনো উইকেট না হারিয়েই পাওয়ার প্লে পার করে ফেলেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই ওপেনার স্টিভেন টেইলর ও অধিনায়ক মোনাঙ্ক প্যাটেল। প্রথম পাঁচ ওভার দেখেশুনে খেললেও সাকিব আল হাসান আক্রমণে আসতেই তার ওপর চড়াও হন টেইলর। একটি করে ছক্কা ও চার মারেন তিনি। সব মিলিয়ে ১৫ রান আসে ওই ওভার থেকে। এতে পাওয়ার প্লে শেষে আমেরিকানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় বিনা উইকেটে ৪২ রান।

লেগ স্পিনার রিশাদ সপ্তম ওভারে বোলিংয়ে গিয়েই বাংলাদেশের জন্য নিয়ে আসেন স্বস্তি। যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙাসহ পরপর দুই বলে দুই শিকার ধরেন তিনি। টেইলর উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং-অনে ধরা পড়েন তানজিদ হাসান তামিমের হাতে। ২৮ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। অ্যান্ড্রিস গুস টিকতে না পেরে গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ পান। তার ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক জাকের আলি অনিক।

ধাক্কা সামলে ফের জুটি গড়ায় মনোযোগী হয় যুক্তরাষ্ট্র। মোনাঙ্ক সঙ্গী হিসেবে পান অ্যারন জোন্সকে। তারা উইকেট ধরে রাখলেও রানের গতি খুব বেশি বাড়াতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। ইনিংসের ১৪তম ও নিজের শেষ ওভারে ২ রান দেন রিশাদ। সাকিবও খরুচে ধারা থেকে বের আসেন। নিজের শেষ ও ইনিংসের ১৬তম ওভারে ৩ রান দিয়ে তিনি স্পেল শেষ করেন বিনা উইকেটে ৩৫ রানে।

১৭তম ওভারে অবশেষে আরেকটি উইকেটের দেখা মেলে বাংলাদেশের। মোস্তাফিজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কুপোকাত হন জোন্স। লং-অন থেকে দৌড়ে সামনে গিয়ে ক্যাচ হাতে জমান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ৩৪ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় তিনি করেন ৩৫ রান। এতে ভাঙে ৫৬ বলে ৬০ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।

মঞ্চ প্রস্তুত থাকলেও কোরি অ্যান্ডারসন ঝড় তুলতে পারেননি। তিনি আউট হন ১০ বলে ১১ রান করে। ১৯তম ওভারে তাকে বোল্ড করার পর মোনাঙ্কের স্টাম্পও উপড়ে ফেলেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল। যুক্তরাষ্ট্রের দলনেতা লম্বা সময় টিকে থেকে খেলেন দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস। তিনি ৩৮ বল মোকাবিলায় মারেন ৪ চার ও ১ ছক্কা। জোড়া উইকেট পড়লেও ওই ওভারে ওঠে ১৩ রান।

শেষ ওভারের প্রথম বলেই আবার উইকেট নেওয়ার উল্লাসে মাতেন বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজ। আগের ম্যাচে তাণ্ডব চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে জেতানো হারমিত সিংকে রানের খাতা খুলতে দেননি তিনি। হারমিত ২ বলে শূন্য রানে ক্যাচ দেন সাকিবের হাতে। নিশিত কুমার ৩ বলে ৭ ও শ্যাডলি ফন শ্যালকউইক ৪ বলে ৭ রানে অপরাজিত থাকেন।

Comments

The Daily Star  | English

BNP places several demands to Yunus, including removal of 'one or two' members of interim govt

BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir led the six-member delegation at the State Guest House Jamuna.

3h ago