বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে ভারত
শক্তিশালী প্রতিপক্ষ পেতেই আরও একবার ব্যাটারদের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে উঠল। রেনুকা সিংয়ের তোপে স্কোরবোর্ডে বলার মতো পুঁজিই সংগ্রহ করতে পারেনি বাংলাদেশের মেয়েরা। বল হাতেও একেবারে সাদামাটা। ভাঙতে পারেননি ওপেনিং জুটিই। কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। সহজ জয়ে আরও একটি ফাইনালে ভারত।
শুক্রবার শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় ওমেন্স এশিয়া কাপের সেমি-ফাইনালে বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে মাত্র ৮০ রান করতে পারে বাংলাদেশ। জবাবে ৫৪ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
নারীদের ক্রিকেটে এশিয়া কাপে বরাবরই একচ্ছত্র দাপট ভারতের। আগের আট আসরের মধ্যে সাতবারই শিরোপা জিতে নিয়েছে তারা। একবার জিতেছিল বাংলাদেশ। এবার সেই বাংলাদেশকে হারিয়ে আরও একটি শিরোপার সুবাস পাচ্ছে ভারত। দিনের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মধ্যকার জয়ী দলের বিপক্ষে আগামী রোববার শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নামবে তারা।
সাদামাটা লক্ষ্য তাড়ায় বাংলাদেশি বোলারদের সাদামাটা বোলিংয়ে কাজটা আরও সহজ করে দেয় ভারতকে। শুরু থেকেই আগ্রাসী ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা। আরেক ওপেনার শেফালি ভার্মা অবশ্য কিছুটা দেখে খেলেছেন। পাওয়ার প্লেতেই বিনা উইকেটে ৪৬ রান তুলে ফেলে দলটি।
তবে ওপেনিং জুটি ভাঙার সুযোগ ছিল বাংলাদেশের সামনে। রাবেয়া খানের বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে দলীয় ৬৪ রানে লংঅনে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন শেফালি। কিন্তু সে সুযোগ লুফে নিতে পারেননি নাহিদা আক্তার। তখন ২২ রানে ব্যাট করছিলেন শেফালি।
৩৮ বলেই নিজের ফিফটি তুলে শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন স্মৃতি। নিজের ইনিংসটি সাজাতে ৯টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন এই ওপেনার। শেফালি খেলেন ২৮ বলে অপরাজিত ২৬ রানের ইনিংস। তিনি মারেন ২টি চার।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে শুরু থেকে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। এক ছক্কা মেরে প্রথম ওভারেই আরেক বড় শটের চেষ্টায় ফিরে যান দিলারা আক্তার। ইশমা তানজিম দুই চারে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু আলগা শটে তিনি বিলিয়ে দেন উইকেট।
আগের দুই ম্যাচে দুই ফিফটি করা মুরশিদা খাতুনও ফেরেন দৃষ্টিকটু শটে। সহজ ক্যাচে তিনি থামেন ৪ রান করে। লম্বা সময় পর জাতীয় দলে ফিরে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পারেননি রুমানা আহমেদ। ১১ বলে স্রেফ এক রান করে রাধা যাদবের বলে হন বোল্ড। ৩০ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে চলে যায় টাইগ্রেসরা।
পুজা ভাস্তেকারের বলে পুল শট মারতে গিয়ে রাবেয়া খান ফিরলে ৩৩ রানে ৫ উইকেট। অধিনায়ক জ্যোতি ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকার চেষ্টা করতে থাকেন। তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি রিতু মনি। দীপ্তি শর্মার বলে স্টাম্পিং হয়ে যান তিনি।
পরে স্বর্ণা আক্তারকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন জ্যোতি৷ তবে তাদের রান তোলার গতি ছিলো শ্লথ। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৫১ বলে মাত্র ৩২ রান করেন জ্যোতি। স্বর্ণা আক্তার ১৮ বলে করেন ১৯ রান। ভারতের হয়ে রেনুকা সিং ও রাধা যাদব ৩টি করে উইকেট নেন।
Comments