বিপিএল মাতানো জাইদি পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে ২০১৫ সালে টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন আশার জাইদি। পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া এই ক্রিকেটারকে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইসিসি। বাঁহাতি অলরাউন্ডার খেলোয়াড় হিসেবে নয়, কোচের ভূমিকায় দুর্নীতিতে জড়িয়ে হয়েছেন নিষিদ্ধ।
২০২১ সালে আবুধাবি টি-টেন লিগে কাজের সময় জাইদির দুর্নীতিতে জড়ানোর প্রমাণ পেয়েছে আইসিসি। পুনে ডেভিলসের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করছিলেন তিনি। তার সঙ্গে দলটির দুজন মালিকের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে বুধবার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে আইসিসি।
তবে জাইদির নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে আরও আগে থেকে। ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে তার নিষিদ্ধ সময়। ২০২৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যা চলবে। এই সময়ে ক্রিকেটে সব ধরনের সংশ্লিষ্টতা থেকে তাকে বিরত রাখতে আদেশ দিয়েছে আইসিসি। পাঁচ বছরের মধ্যে এক বছর অবশ্য স্থগিত নিষেধাজ্ঞা।
২.১.১ এবং ২.৪.৪- এই দুটি ধারায় অভিযুক্ত করে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২.১.১ ধারা বলে- দুর্নীতিতে জড়ানোর জন্য সরাসরি অথবা পরোক্ষভাবে কাউকে অনুরোধ, প্ররোচনা, প্রলুব্ধ, নির্দেশ কিংবা উৎসাহ দেওয়া। ২.৪.৪ ধারার অধীনে দুর্নীতিতে জড়ানোর প্রস্তাব সম্পর্কে পুরো তথ্য দিয়ে আকসুকে (অ্যান্টি করাপশন ইউনিট) সহায়তা না করার কারণে শাস্তি পেয়েছেন তিনি৷
২০২৩ সালে আটজনকে অভিযুক্ত করে আইসিসি। জাইদি এবং দুই মালিক পরাগ সাঙ্গভি ও কৃষান কুমার চৌধুরী বাদে আরও পাঁচজন রয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন নাসির হোসেন। বর্তমানে দেড় বছরের নিষেধাজ্ঞা চলছে বাংলাদেশি এই ক্রিকেটারের। ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন তিনি।
পুনে ডেভিলসে তার দলের ব্যাটিং কোচ জাইদি একসময় বিপিএল মাতিয়েছেন। ২০১৫ সালে ৮ ইনিংসে ২১৫ রান করেছিলেন ১৩৮ স্ট্রাইক রেটে। পাশাপাশি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জার্সিতে ১১ ম্যাচ খেলে ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন। বাঁহাতি স্পিনে তার ইকোনমি ছিল মাত্র ৪.৭৮।
টুর্নামেন্ট সেরা খেলোয়াড় হয়ে কুমিল্লাকে প্রথম বিপিএল শিরোপা জেতাতে রেখেছিলেন অবদান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে পারেননি তিনি কখনো। তবে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ক্রিকেটে সাসেক্স ও এসেক্সের হয়ে দীর্ঘদিন খেলেছেন।
Comments