বিসিবির সিদ্ধান্ত আমরা নিতে পারব না: আসিফ মাহমুদ

Asif Mahmud

ক্ষমতার পালাবদলের পর দেশ জুড়ে চলছে অস্থিরতা। সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও চলছে ব্যাপক রদবদল। বদল আসছে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে। আগের সরকারের আমলে যারা নিয়োগপ্রাপ্ত ছিলেন তাদেরকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, প্রধান বিচারপতি পর্যন্ত পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। এমন পরিস্থিতির আঁচ ক্রীড়াঙ্গনেও লাগার আভাস দেখা যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড স্বায়ত্তশাসিত হওয়ায় নতুন সরকারের পক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

সদ্য দায়িত্ব প্রাপ্ত যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা প্রথম দিন কার্যালয়ে গিয়ে বিসিবির বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি জানান বিসিবিকে তারা কেবল পরামর্শ দিতে পারেন, 'বিসিবির বিষয়ে, যেহেতু বিসিবি একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, সিদ্ধান্তটা আমরা দিতে পারবো না। বিসিবি থেকে পরামর্শ নিতে পারবো, তাদেরকে পরামর্শ দিতে পারবো।'

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশে দেখা যায়নি বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে। অসমর্থিত সূত্রের খবর তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।

এই মুহূর্তে বেশিরভাগ পরিচালককেও দেখা যাচ্ছে না। কয়েকজন কর্মকর্তা চালিয়ে নিচ্ছেন কাজ, 'বিসিবির সভাপতি অনুপস্থিত আছেন। অবশ্যই একটা ফেডারেশনকে কাজ করতে হলে তার সবগুলো অর্গানকে কাজ করতে হয়। সভাপতির মত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যিনি আছেন, তিনি অনুপস্থিত আছেন। কিন্তু বিসিবি আইসিসির অধীনে একটি ফেডারেশন। এই বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারব না, আমরা পরামর্শ করেছি, যারা বিসিবির পরিচালক আছেন তারা আইসিসির লিগ্যাল ফ্রেমওয়ার্কের মধ্যে থেকে কিভাবে বিষয়টি সমাধান করা যায় সেটি দেখবেন।'

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচিত বোর্ডকে সরকারি হস্তক্ষেপে সরানো যায় না। তেমন চেষ্টা হলে নিষিদ্ধ হতে পারে বাংলাদেশের ক্রিকেট। বর্তমান বোর্ড নিজে থেকে সরে গেলে নতুন সরকার অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠন করতে পারবে। আসিফের কথায় ইঙ্গিত তারা অন্তর্বর্তী বোর্ড গঠনের ব্যাপারে আগ্রহী, 'অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য কাউকে নিয়োগ করা যায় কিনা, সেই বিষয়ে তারা আমাদের পরবর্তীতে রিপোর্ট করবেন। এই বিষয়ে আমরা প্রক্রিয়াটি চালু রাখব। এই তিনটি প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা আজ কথা বলেছি। আজ সময় দিতে পারছি না, আপনারা জানেন প্রধান বিচারপতির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান আছে। পরে আমরা বিস্তারিত কথা বলব, সিদ্ধান্ত নিতে পারব। আজকে মূলত নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে আমরা কথা বলেছি।'

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

15h ago