দল নির্বাচনে কখনো সভাপতির কোন প্রভাব ‘অনুভব’ করেননি প্রধান নির্বাচক
চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর জায়গায় প্রধান নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ পান গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। দেশের ইতিহাসের প্রথম ওয়ানডের এই অধিনায়ক তার দায়িত্বপালনের ৬ মাসে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারার কথা জানিয়েছেন। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বা বোর্ডের কেউ প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে তার কাজে হস্তক্ষেপ করেননি।
জাতীয় পুরুষ ক্রিকেট দল নির্বাচন নিয়ে সব সময় বাংলাদেশে জমে উঠে আলোচনা। কে থাকলেন, কে বাদ পড়লেন এসব কথা বারবার উত্তপ্ত করে গণমাধ্যম। কারো পারফরম্যান্স খারাপ হলে সমর্থকদের তুমুল সমালোচনায় পড়েন দায়িত্বশীলরা।
সম্প্রতি ক্ষমতার পালাবদল কেন্দ্র করে ইমরুল কায়েস, নুরুল হাসান সোহানরা নির্বাচক প্রক্রিয়া নিয়ে ক্ষোভ তুলে ধরেছেন। এই ব্যাপারে সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রশ্ন উঠলে গাজী আশরাফ বলেন, 'আজ আমি পাকিস্তান সফরের দল নিয়ে কথা বলব। তবে কোন ক্রিকেটার যদি নিজেকে বঞ্চিত ভাবেন, তাদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করব।'
পরে প্রধান নির্বাচক বিশদভাবে তুলে ধরেন কীভাবে আসলে নির্বাচন প্রক্রিয়া কাজ করেছে, 'দল যেহেতু চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করতেন সভাপতি, উনি ব্যাখ্যা চাইতেন। সেটা চাইতেই পারেন। আমরা ব্যাখ্যা দিতাম। এছাড়া সভাপতি সাহেবের প্রভাব আমি অন্তত অনুভব করিনি।'
গাজী আশরাফ বরং গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভুল তথ্য প্রচার নিয়ে নিজের হতাশা তুলে ধরেন। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খারাপ পারফরম্যান্স করলে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে চলে সমালোচনা। সেখানে ভুলভাবে জড়ানো হয় প্রধান নির্বাচকের নাম, 'আমর বরং মনে হয় মিডিয়াতে অনেক সময় বলা হয় দল নিয়ে 'বিসিবি এই ভাবছে, ওই ভাবছে।' কে ভাবছেন, কি ভাবছেন এসব পরিষ্কার থাকে না। নির্দিষ্ট করে বলতে হবে। বোর্ড কর্মকর্তা ভাবছেন নাকি নির্বাচকরা। আমি কিন্তু বিশ্বকাপের সময় দেখেছি দলনায়ক শান্তকে ৪০-৫০ দিন আমার কাজিন, খালাতো ভাই, মামাতো ভাই হিসেবেই প্রচার করা হয়েছে। কেউ জিজ্ঞেস করেনি এটা খবর শুনেছি এটা সত্য কিনা।'
Comments