বিসিবি থেকে পদত্যাগ করেছেন পাপন, নতুন সভাপতি ফারুক

সকাল ১১টায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে হওয়া সভায় উপস্থিত ছিলেন বর্তমান বোর্ডের ৮ পরিচালক। দুজন ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে মনোনীত প্রতিনিধি। তাদের সবার সম্মতিতে পাপনের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে। 
Nazmul Hasan Papon & Faruque Ahmed

বিসিবি সভাপতি পদ থেকে নাজমুল হাসান পাপন পদত্যাগ করেছেন। বিসিবির গণমাধ্যম বিভাগ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। পাপনের পদত্যাগের পাশাপাশি নতুন সভাপতি হিসেবে সর্ব সম্মতিক্রমে সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ নির্বাচিত হয়েছেন।

সকাল ১১টায় ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে হওয়া সভায় উপস্থিত ছিলেন বর্তমান বোর্ডের ৮ পরিচালক। দুজন ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে মনোনীত প্রতিনিধি। তাদের সবার সম্মতিতে পাপনের পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে। 

ক্ষমতার পালাবদলের পর দেশের বাইরে আছেন পাপন। এই সভায় ভার্চুয়ালিও অংশ নেননি তিনি। তার পদত্যাগপত্র ই-মেইলে পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে। 

গত সোমবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে মনোনীত দুই পরিচালককে পদত্যাগ করতে বলা হয়। জালাল ইউনুস পদ ছেড়ে দিলেও আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি পদত্যাগে রাজী হননি। তিনি জানিয়েছিলেন, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ চাইলে তাকে অব্যাহতি দিতে পারে। বুধবার বোর্ড সভায় ক্রীড়া পরিষদ থেকে প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফারুক ও নাজমুল আবেদিন ফাহিম। এরমধ্য দিয়ে ববিকে অব্যাহতি দেওয়া পরিষ্কার হয়ে গেছে। 

এদিকে বিসিবির গণমাধ্যম বিভাগ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে জানিয়েছে আজ দুপুরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন নতুন সভাপতি ফারুক।  ২০২১ সালে তৃতীয়বারের মতন বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন পাপন। ২০১২ সালে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব পান তিনি। এরপর একটানা ছিলেন এই পদে। 

গতকাল বিসিবির প্রধান নির্বাহীর মাধ্যমে বোর্ড সভাপতির পক্ষে জরুরি সভার ডাক পান পরিচালকরা। মধ্যরাতে বিসিবির গণমাধ্যম বিভাগ জানায় নিরাপত্তাজনিত কারণে তাদের এই সভা হবে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে।  বিসিবিতে সরকারি হস্তক্ষেপ হলে সেটা হবে আইসিসি আইনের লঙ্খন। ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে সভা করায় সেই প্রশ্ন উঠেছিলো। 

এদিন বোর্ড সভায় বর্তমান পরিচালকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন  মাহবুব আনাম, কাজী ইনাম আহমেদ, সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরি, সালাহউদ্দিন চৌধুরি, খালেদ মাহমুদ, আকরাম খান, ইফতেখার আহমদ মিঠু ও ফাহিম সিনহা। সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন এমন কাউকে সভায় দেখা যায়নি।  বোর্ড সভাপতি সরে গেলেও পরিচালকদের ব্যাপারে এখনো কিছু জানা যায়নি। কারা থাকছেন, কারা পদ ছাড়ছেন তা নিশ্চিত হতে আরও অপেক্ষা করতে হবে। 

৫৮ পেরুনো ফারুক আশি-নব্বুই দশকে বাংলাদেশের হয়ে ৭টা ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। তাকে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে দেখা গেছে ১৯৯৯ বিশ্বকাপে। ২০১৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক ছিলেন ফারুক। দ্বি-স্তর বিশিষ্ট নির্বাচক কমিটি করার প্রতিবাদে ও কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পদত্যাগ করে ক্রিকেট থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন তিনি। ৮ বছর পর তিনি ফিরছেন একদম সর্বোচ্চ পদে। ফারুকই প্রথম কোন ক্রিকেটার যিনি সভাপতির আসনে বসলেন। 

Comments

The Daily Star  | English
economic challenges for interim government

The steep economic challenges that the interim government faces

It is crucial for the interim government to focus on setting a strong foundation for future changes.

9h ago