সাকিব মিথ্যা মামলার আসামি, মনে করেন মুমিনুল

ছবি: এএফপি

একটি হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে। তাকে বাংলাদেশ জাতীয় দল থেকে বাদ দিয়ে দেশে ফেরাতে বিসিবিকে আইনি নোটিশও দেওয়া হয়েছে। তবে তার দীর্ঘদিনের সতীর্থ মুমিনুল হক মনে করেন, সাকিবকে মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে।

পোশাক শ্রমিক রুবেল হত্যার অভিযোগে গত ২২ আগস্ট ডিএমপির আদাবর থানায় করা একটি মামলায় এসেছে সাকিবের নাম। অভিযোগ মাথায় নিয়েই রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে খেলেছেন তিনি। পাকিস্তানের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের ঐতিহাসিক জয়ে রেখেছেন বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

হত্যা মামলায় সাকিবের আসামি হওয়া নিয়ে রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন মুমিনুল। বাংলাদেশের বাঁহাতি ব্যাটারের সেই পোস্ট তুলে ধরা হলো দ্য ডেইলি স্টারের পাঠকদের জন্য, 'প্রায় ১৮ বছর ধরে দেশের ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করছেন সাকিব আল হাসান। দেশের ক্রিকেটে তার হাত ধরে এসেছে কত জয়! সেই মানুষটা এখন মিথ্যা মামলার আসামি!

গার্মেন্টসকর্মী হত্যা মামলায় অভিযুক্ত সাকিব ভাই তখন কানাডায় খেলছিলেন। দেশেও ছিলেন না লম্বা সময়। সাকিব ভাইয়ের নামে এমন মামলা অপ্রত্যাশিত। এমন ঘটনা দেশের ক্রিকেটের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে পারে।

যে ছাত্র-জনতার রক্তে নতুন বাংলাদেশ দেখলাম, সেই বাংলাদেশে প্রশ্নবিদ্ধ মামলা করে হয়রানি অপ্রত্যাশিত। আমরা চাই নতুন বাংলাদেশে সবাই ন্যায়বিচার পাবে।

ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের প্রতি সবসময়ই সমর্থন ছিল, আছে ও থাকবে। সংকট কাটিয়ে নিশ্চয়ই ভক্তদের ভালোবাসায় আগের মতোই সিক্ত হবে সাকিব ভাই।'

আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিনুর রহমানের পক্ষ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সজীব মাহমুদ আলমের পাঠানো আইনি নোটিশে বলা হয়েছে, যেহেতু সাকিববের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে, তাই আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী তিনি জাতীয় ক্রিকেট দলে থাকতে পারবেন না। তাকে অবিলম্বে ক্রিকেট দল থেকে সরিয়ে দেওয়া প্রয়োজন।

মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে সাকিবকে দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশনাও ওই আইনি নোটিশে চাওয়া হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৫৬ জনকে আসামি করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago