বাংলাদেশের বিপক্ষে একটা জায়গা নিয়েই চিন্তায় ভারত
চেন্নাইর উইকেট লাল মাটির হবে। সেখানে বাউন্স থাকবে আবার বল টার্নও করবে। এমন উইকেটে একাদশে তিন পেসার নাকি দুই পেসার খেলাবে ভারত তা নিয়ে দলটি আছে দ্বিধায়।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর চেন্নাইর চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের উইকেট একপেশে স্পিন বান্ধব হচ্ছে না। সেখানে পেসারদের জন্য যথেষ্ট রসদ থাকছে। আর তাতেই তিন পেসার খেলানোর ভাবনা তৈরি হয়েছে। ঘরের মাঠে ভারত সর্বশেষ তিন পেসার নিয়ে টেস্ট খেলতে নেমেছিল ২০১৯ সালে৷ কাকতালীয়ভাবে সেবারও প্রতিপক্ষ ছিলো বাংলাদেশ।
তবে সেই বাংলাদেশের সঙ্গে এবার মৌলিক তফাৎ হচ্ছে পেস আক্রমণে। সাম্প্রতিক সময়ে টেস্ট জুতসই পেসার পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই ছবি দেখিয়েছেন হাসান মাহমুদ, নাহিদ রানা, তাসকিন আহমেদরা। এই বিষয়টাও ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট মাথায় রাখছে।
তবে স্পিনিং উইকেটে দুই দলের পার্থক্য কমে যায় বেশি। ২০২২ সালে মিরপুরে টার্নিং উইকেটে অল্পের জন্য বাংলাদেশের কাছে হার থেকে রক্ষা পায় ভারত৷ মন্থর, নিচু বাউন্স ও টার্নিং উইকেট দিয়ে তাই প্রতিপক্ষকে সুযোগ দিতে চায় না তারা। এজন্য টার্ন থাকলেও উইকেটে যাতে বাউন্স ও গতিও থাকে তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
ভারতীয় একাদশে বেশিরভাগ জায়গা নিয়ে প্রশ্ন নেই৷ বোলিং আক্রমণে জাসপ্রিট বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ, রবীচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা নিশ্চিত। পঞ্চম বোলার হিসেবে লড়াইয়ে আছেন দুই স্পিনার অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব। দুই পেসার আকাশ দ্বীপ ও ইয়াশ দয়াল। তিন স্পিনার খেলালে কুলদীপের সম্ভাবনাই বেশি। কুলদীপ বাঁহাতি রিষ্ট স্পিনার হওয়ায় বাংলাদেশের বাঁহাতি ভরা ব্যাটিং লাইনআপে কার্যকর হতে পারেন।
তিন পেসার খেলালে আক্রমণে বৈচিত্র্য আনতে সুযোগ পেয়ে যেতে পারেন দয়াল।
এছাড়া ব্যাটিং লাইনআপে রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেন করতে নামবেন যশভি জয়সওয়াল। এরপর একে একে শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুল, কিপার ব্যাটার হিসেবে লম্বা সময় পর নামবেন রিশভ পান্ত। সাত ও আটে দুই অলরাউন্ডার অশ্বিন ও জাদেজা। দুই পেসার বুমরাহ ও সিরাজের সঙ্গে আরেকজন বোলার কে হবেন তা নিয়েই যত জল্পনা।
Comments