দুই ওপেনারকে হারানোর পর শান্ত-মুমিনুলের প্রতিরোধ
কানপুরের ইতিহাসে দ্বিতীয় বারের মতো টস জিতে বোলিং। তাও প্রায় ৬০ বছর পর। তবে বোলিং নিয়ে শুরুটা মন্দ করেনি ভারত। প্রথম ঘণ্টার মধ্যেই ফিরিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও জাকির হাসানকে। তবে দুই ওপেনারকে হারানোর পর প্রতিরোধ গড়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক।
শুক্রবার কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম সেশন শেষে ২ উইকেটে ৭৪ রান করেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক শান্ত ২৮ এবং মুমিনুল ১৭ রানে ব্যাটিং করছেন। দলীয় ২৯ রানে দুই উইকেট হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে এই দুই ব্যাটার এরমধ্যেই গড়েছেন ৪৫ রানের জুটি।
দিনের শুরুতে জাসপ্রিত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজকে সামলাতে পেরেছিলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাদমান ও জাকির। আগের ম্যাচে নায়ক রবিচন্দ্রন অশ্বিনকেও সামলানো গেল। তবে তরুণ পেসার আকাশ দিপ আসতেই ভাঙে তাদের প্রতিরোধ। প্রথম ওভারেই জাকিরকে ফিরিয়ে ওপেনিং জুটি ভাঙেন এই পেসার।
শুরু থেকেই অবশ্য কিছুটা সেকি ছিলেন জাকির। ২৪ বল খেলেও কোনো রান নিতে পারেননি। তবে রাউন্ড উইকেটে বোলিং করে এই ওপেনারকে চতুর্থ স্লিপে ক্যাচে পরিণত করেন আকাশ। ঝাঁপিয়ে দারুণ ক্যাচ লুফে নেন যশভি জসওয়াল। রিপ্লে দেখে আউটের সিদ্ধান্ত দেন আম্পায়াররা।
বাংলাদেশের হয়ে টপ অর্ডার ব্যাটারদের মধ্যে জাকিরই সর্বোচ্চ ২৪ বল খেলে ০ রানে আউট হন। এর আগে ২০০৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৬টি বল খেলে খালি হাতে ফিরেছিলেন ইমরুল কায়েস। তবে ২০০২ সালে কলম্বোয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ বল খেলে ০ রানে আউট হয়েছিলেন বাংলাদেশের সাবেক পেসার মঞ্জুরুল ইসলাম।
নিজের দুই ওভার পর ফিরে আরেক ওপেনার সাদমানকেও ফেরান আকাশ। তার অ্যাঙ্গেলে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি ডিফেন্স করতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারেননি সাদমান। বল প্যাডে লাগলে আবেদন করেন ভারতীয়রা। তবে আম্পায়ার সাড়া দেননি। খালি চোখে মনে হয়েছিল বল লেগ স্টাম্প মিস করবে। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়, লেগ স্টাম্পে আঘাত করত বল। ৩৬ বলে ২৪ রান করেন সাদমান।
এরপর মুমিনুলকে নিয়ে দলের হাল ধরেন শান্ত। এদিন অবশ্য কিছুটা বিস্ময় উপহার দিয়ে চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামেন অধিনায়ক। অনেক দিন থেকেই তিন নম্বরে খেলেছেন তিনি। এমনকি সবশেষ চেন্নাই টেস্টেও তিনে নেমে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছিলেন তিনিই।
Comments