মুমিনুলের সেঞ্চুরি, উইকেট বিলিয়ে দিলেন সাকিব-লিটন
এক প্রান্তে আসা যাওয়ার মধ্যেই আছেন টাইগার ব্যাটাররা। উইকেট বিলিয়েও এলেন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটাররা। তবে অপর প্রান্তটা আগলে রাখলেন আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুমিনুল হক। দারুণ সব শটে দলের চাপ সামলে তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৩তম সেঞ্চুরিও।
সোমবার কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের প্রথম সেশন শেষে ৬ উইকেটে ২০৫ রান করেছে বাংলাদেশ। এদিনের প্রথম সেশনে ৩টি উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। মুমিনুল হক ১০২ এবং মেহেদী হসান মিরাজ ৬ রানে ব্যাটিং করছেন। দলীয় ১৭০ রানে ছয় উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেছেন এ দুই ব্যাটার।
মাঝে আড়াই দিনেরও বেশি সময় খেলা হয়নি। চতুর্থ দিনের ঝলঝলে আবহাওয়ায় খেলা চললেও শুরু থেকেই চাপে পড়ে টাইগাররা। দায়িত্বজ্ঞানহীন শটে আউট হয়েছেন সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটাররা। সেখানে কিছুটা বিপরীত ছিলেন মুমিনুল।
শুরুতে কিছুটা দেখে খেললেও ধীরে ধীরে আগ্রাসী হন এই বাঁহাতি ব্যাটার। ১১০ বলে ফিফটি স্পর্শ করা মুমিনুল সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ১৭২ বলে। অর্থাৎ দ্বিতীয় ফিফটি আসে ৬২ বলে। লাঞ্চের আগে অশ্বিনের করা শেষ ওভারে সুইপ করে বাউন্ডারি মেরে শতরান পূরণ করেন মুমিনুল। সেঞ্চুরিটি ১৫টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান এই ব্যাটার।
১৬ মাসেরও বেশি সময় পর তিন অঙ্কের দেখা পেলেন মুমিনুল। মিরপুরে গত বছরের জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সবশেষ সেঞ্চুরিটি করেছিলেন তিনি। দেশের বাইরে এটা তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তার ১৩ সেঞ্চুরির ১১টিই দেশের মাটিতে। এর আগে ২০২১ সালে পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি সেঞ্চুরি করেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
অবশ্য মাঝে একবার মুমিনুলকে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার। মোহাম্মদ সিরাজের বলে অন সাইডে খেলতে গিয়ে মিস করেন তিনি। প্যাড ছুঁয়ে জমা পড়ে শর্ট লেগে দাঁড়ানো ফিল্ডারের হাতে। আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। তবে রিভিউ নিয়ে বাঁচেন মুমিনুল।
প্রথম দিনের ৩ উইকেটে ১০৭ রান নিয়ে এদিন ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। তবে স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ হতেই উইকেট হারায় তারা। নিজের অফস্টাম্প কোথায় তা বুঝতে ভুল করেছিলেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। জাশপ্রিত বুমরাহর অফ স্টাম্পের বাইরে রেখে ভেতরের দিকে ঢোকা ডেলিভারি ছেড়ে দিয়ে বিপদ ডেকে আনেন। ইনসুইংয়ে বেল উড়ে যায় তার। আগের বলটিও একই ঢঙ্গে করেছিলেন বুমরাহ। ৩২ বলে ১১ রান করেছেন মুশফিক।
মুশফিক বল জাজমেন্টে ভুল করলেও অযথাই শট খেলতে গিয়ে আউট হন উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন দাস। মোহাম্মদ সিরাজের ফুলার লেন্থের বল উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে মিডঅনে ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার ক্যাচে পরিণত হয়েছেন তিনি। লাফিয়ে এক হাতে দারুণ ক্যাচ ধরেছেন ভারতীয় অধিনায়ক। ৩০ বলে ১৩ রান করেন লিটন।
দলীয় ১৪৮ রানে ৫ উইকেট হারানোয় বেশ চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। অভিজ্ঞ সাকিবের কাছ থেকে ভালো কিছুই ছিল প্রত্যাশা। কিন্তু নিজের উইকেট বিলিয়ে আরও চাপ বাড়িয়ে দেন এই অলরাউন্ডার। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের আগের বলেই উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে ইনসাইড আউট শটে চার পেয়েছিলেন। পরের বলেও একই শট খেলতে গেলেন। তবে এবার ছক্কা মারার চেষ্টায় আকাশে তুলে মিডঅফে ক্যাচে তুলে দেন। অনেকটা পেছনে দৌড়ে লাফিয়ে এক হাতে দারুণ ক্যাচ লুফে নেন সিরাজ। ১৭ বলে ৯ রান করেন সাকিব।
Comments