লাঞ্চের পর বাংলাদেশ টিকল ৫০ বল

এক প্রান্ত আগলে রেখে মুমিনুল অপরাজিত থাকলেও ব্যাটারদের ব্যর্থতায় অপর প্রান্তের ধস থামানো যায়নি

মুমিনুল হকের সেঞ্চুরির উচ্ছ্বাস নিয়েই লাঞ্চে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এক প্রান্ত আগলে রেখেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। তবে লাঞ্চের পরও সেই একই দশা। এক প্রান্ত তিনি আগলে রাখলেন ঠিকই, কিন্তু অন্য প্রান্তে পেলেন না সহায়তা। ফলে লাঞ্চের পর ৫০ বলের (৮.২ ওভার) মধ্যেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা। 

কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের চতুর্থ দিনে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে অলআউট গেছে বাংলাদেশ। এক প্রান্ত আগলে রেখে ১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন মুমিনুল। ১৯৪ বলে ১৭টি চার ও ১টি ছক্কায় সাজান নিজের ইনিংস।

অথচ প্রথম দিন থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টির কারণে মাঝে আড়াই দিন খেলা হয়নি। চতুর্থ দিনের আলো ঝলমলে পরিবেশে খেলা শুরু হলে একের পর এক বাজে শটে লাঞ্চের আগেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে টাইগাররা। তবে মুমিনুলের সেঞ্চুরি কিছুটা স্বস্তি এনে দেয়। কিন্তু লাঞ্চের পর অপর প্রান্তে ধস থামেনি। কেবল তাকিয়ে দেখেছেন মুমিনুল।

লাঞ্চের আগেই মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ৩৫ রানের জুটি গড়েছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। বিরতি শেষে মাঠে নেমে কিছুটা আগ্রাসী ঢঙেই খেলতে থাকেন মিরাজ। তাতে দ্রুতই জুটির ফিফটিও পার হয়। কিন্তু খুব বেশিক্ষণ আগাতে পারেননি তারা। মিরাজের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি।

বুমরাহর করা যে ওভারে আউট হয়েছেন মিরাজ সেই ওভারেই দুটি বাউন্ডারি মারেন মিরাজ। বদলা খুব দ্রুতই নেন সময়ের অন্যতম সেরা এই পেসার। চতুর্থ বলে মিরাজকে স্লিপে শুবমান গিলের ক্যাচে পরিণত করেন। ৪২ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ২০ রান করেন মিরাজ।

পরের ওভারে ফিরে তাইজুলকেও ফেরান বুমরাহ। তার ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে বোল্ড হয়ে যান এই ব্যাটার। ৫ রান আসে তার ব্যাট থেকে। আর হাসান মাহমুদকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মোহাম্মদ সিরাজ। মুমিনুলকে সঙ্গ দিতে পারেননি সৈয়দ খালেদ আহমেদও। রবীন্দ্র জাদেজার বলে তার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus’ economic gambit paying off

Two months ago, as Professor Muhammad Yunus waded into Bangladesh’s unprecedented political turmoil, he inherited economic chaos by default.

5h ago