টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা মাহমুদউল্লাহর

সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ছবি: আবদুল্লাহ আল মেহেদী

গত কয়েকদিন ধরে চলতে থাকা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর নিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির আগের দিন মঙ্গলবার দিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। আগামী শনিবার হায়দরাবাদে চলতি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ খেলে এই সংস্করণ থেকে সরে দাঁড়াবেন তিনি।

এখন পর্যন্ত ১৭৭টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে বাংলাদেশ দল। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৩৯টি ম্যাচে লাল-সবুজ জার্সিধারীদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন মাহমুদউল্লাহ। তবে এখনই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ছেন না তিনি। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে খেলে যেতে চান। তিনি টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছেন ২০২১ সালে। যদিও সেবার কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি।

দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে মাহমুদউল্লাহ বলেন, এই সিরিজ শুরুর আগেই অবসরের ঘোষণা দেওয়ার চিন্তা ঠিক করে রেখেছিলেন, 'এই সিরিজের শেষ ম্যাচের পরেই আমি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেব। আসলে এটা আমি এই সফরে আসার আগেই ঠিক করে রেখেছিলাম। আমি আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার কোচ, অধিনায়ক, নির্বাচক ও বোর্ড সভাপতিকেও সিদ্ধান্ত জানিয়েছি।'

৩৮ পেরোনো তারকার মতে, বিদায় বোলার এটাই উপযুক্ত সময়, 'আমি মনে করি, এটাই সঠিক সময় এই সংস্করণ থেকে সরে গিয়ে সামনে ওয়ানডে যা আছে, সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার। আমার জন্য এবং পরের (টি-টোয়েন্টি) বিশ্বকাপের কথা যদি ভাবি, দলের জন্যও এটাই সঠিক সময়।'

মাহমুদউল্লাহর অবসরের ব্যাপারে দ্য ডেইলি স্টারকে বিসিবির একটি সূত্র এর আগে জানিয়েছিল, 'কোনো বিরতি নয়। তিনি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটাতে চান। এই সিরিজে তার অবসরের ঘোষণা দেওয়ার কথা রয়েছে।'

২০০৭ সালের সেপ্টেম্বরে নাইরোবিতে কেনিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল মাহমুদউল্লাহর। ওই ম্যাচে বোলিং করেননি তিনি। ব্যাটিংয়ে ছয় নম্বরে নেমে ৮ বলে ২ রানে আউট হয়েছিলেন। সেদিন ১৩৯ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ৫ উইকেটে জিতেছিল টাইগাররা।

সাকিব আল হাসানের পর এই সংস্করণের ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মালিক ডানহাতি মাহমুদউল্লাহ। ১২৮ ইনিংসে ২৩.৪৮ গড় ও ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেটে তার সংগ্রহ ২৩৯৫ রান। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংসটি তিনি খেলেছিলেন ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।

কার্যকরী অফ স্পিনে ২৭.৩৫ গড় ও ৭.০৪ ইকোনমিতে মাহমুদউল্লাহ নিয়েছেন ৪০ উইকেট। ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০ রানে ৩ উইকেট শিকার তার সেরা বোলিং ফিগার।

গত জুনে যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মাহমুদউল্লাহ ছিলেন পুরোপুরি ব্যর্থ। অনেক নাটকের পর বিশ্বকাপে সুযোগ পেয়ে সাত ম্যাচে মাত্র ১৫.৮৩ গড়ে করেন ৯৫ রান। ফিনিশার হিসেবে খেললেও তার স্ট্রাইক রেটের দশা ছিল একদমই বেহাল (৯৪.০৫)। তখনই তার শেষ দেখে ফেলেছিলেন অনেকে। সেসময় না আসলেও তিন মাসের ব্যবধানে এবার এসেছে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।

Comments

The Daily Star  | English

Scorched at work: Global report revealed dire heat risks for workers

A joint report released by the World Health Organisation (WHO) and the World Meteorological Organisation (WMO) exposed the growing dangers of extreme heat on workers’ health and productivity worldwide.

34m ago