সাজিদ-নোমানের ঘূর্ণিতে ম্যাচে ফিরেছে পাকিস্তান

বেন ডাকেট যখন ব্যাটিং করছিলেন, তখন ম্যাচের লাগাম ছিল ইংলিশদের হাতেই। ৩ উইকেটে ২২৪ রান তুলে নিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু এরপর সাজিদ খান ও নোমান আলীর ঘূর্ণিতে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে পাকিস্তান। উল্টো লিডের স্বপ্ন দেখছে স্বাগতিকরা।

বুধবার মুলতানে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ২৩৯ রান করেছে ইংল্যান্ড। ফলে প্রথম ইনিংসে এখনও ১২৭ রানে এগিয়ে আছে স্বাগতিক দলটি। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৬৬ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান।

তবে দিনের শুরুটা দারুণভাবেই করেছিল ইংল্যান্ড। ৭৩ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন জ্যাক ক্রলি ও ডাকেট। ক্রলিকে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের ক্যাচে পরিণত করে এই জুটি ভাঙেন নোমান। ৩৬ বলে ২৭ রান করেন ক্রলি।

ওপেনিং জুটি ভাঙার পর অলি পোপের সঙ্গে ৫২ ও জো রুটের সঙ্গে ৮৬ রানের আরও দুটি জুটি গড়েন ডাকেট। এ দুই সেট ব্যাটারকেই এই ফেরান সাজিদ। দুইজনকেই বোল্ড করে দেন তিনি। পোপ ২৯ ও রুট ৩৪ রান করেন।

স্কোরবোর্ডে ১৩ রান যোগ হতে এক রানের ব্যবধানে ডাকেট ও হ্যারি ব্রুককে ফিরিয়ে পাকিস্তানকে ম্যাচে ফেরান সাজিদ। স্লিপে আগা সাল মানের তালুবন্দি করেন ডাকেটকে। এর আগে টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে ১১৪ রান করেন এই ওপেনার। ১২৯ বলে ১৬টি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি।

এরপর ব্যক্তিগত ১ রানে অধিনায়ক বেন স্টোকসকে শর্ট লেগে আবদুল্লাহ শফিকের ক্যাচে পরিণত করেন নোমান। পরে দিনের বাকি সময় ব্রাইডন কার্সকে নিয়ে শেষ করেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার জেমি স্মিথ। পাকিস্তানের পক্ষে সাজিদ ৪টি ও নোমান ২টি উইকেট নেন।

সকালে আগের দিনের ৫ উইকেটে ২৫৯ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। শেষ পাঁচ উইকেট হারিয়ে আরও ১০৭ রান যোগ করে তারা। যদিও দিনের শুরুতেই ফিরে যান মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর সালমান আগা, আমির জামাল ও নোমান আলীর ব্যাটে সাড়ে তিনশ ছাড়ানো ইনিংস পায় দলটি।

সালমানের সঙ্গে ৩৮ ও নোমানের সঙ্গে ৪৯ রানের জুটি গড়েন আমির। কার্সের বলে আউট হওয়ার আগে করেন ৩৭ রান। এছাড়া রিজওয়ান ৪১, সালমান ৩১ ও নোমান ৩২ রান করেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে ৪টি উইকেট নেন জ্যাক লিচ। এছাড়া কার্স ৩টি ও ম্যাথিউ পটস ২টি শিকার করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Tax authority to split. Will it bring the desired outcome?

Touted as a historic overhaul, the move has ignited debate over whether it will drive meaningful reform or merely deepen the layers of bureaucracy, given the NBR's persistent failure to meet its targets.

15h ago