'দুই প্রান্তেই বোলিং করতে পারলে ভালো হতো'

বরাবরের মিরপুরে স্পিন সহায়ক উইকেটই পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে পেসারদের জন্যও যে দারুণ সুবিধা রয়েছে তা আগের দিনই বলে গিয়েছেন প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা। সেখানে একাদশে মাত্র এক পেসার হাসান মাহমুদকে নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। দিন শেষে তাই মজা করেই হাসান বললেন, 'দুই দিক থেকেই বোলিং করতে পারলে আরও ভালো হতো।'
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৩ উইকেটে ১০১ রান করেছে বাংলাদেশ। এখনও ১০১ রানে পিছিয়ে আছে দলটি। এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রানে অলআউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। কে জানে পেসাররা যেভাবে বোলিং করেছেন তাতে টাইগারদের একাদশে আরেকজন পেসার থাকলে হয়তো ভিন্ন কিছুও হতে পারতো।
সংবাদ সম্মেলনে তাই একাধিকবারই উঠে আসে আরেক পেসারের ঘাটতির বিষয়টি। যদিও হাসান বারবারই বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন, 'আমার মনে হয় সবার দায়িত্ব সেম, উইকেট নেওয়া। সেটা একটা পেসার, দুইটা পেসার যাই হোক। যেহেতু আমাকে নেওয়া হয়েছে, সেহেতু আমার দায়িত্ব হচ্ছে কীভাবে উইকেট টেকিং ডেলিভারি করা যায়। পার্টনারশিপ বোলিং করা যায়। আমার কাছে এটাই গুরুত্বপূর্ণ। ওটা চিন্তা করা গুরুত্বপূর্ণ নয় যে একটা পেসার খেললে ভালো হতো না দুইটা।'
বাংলাদেশের দুই ইনিংসেই প্রোটিয়া পেসারদের দাপট ছিল দেখার মতো। প্রথম ইনিংসে রাবাদার সঙ্গে একত্রে জুটি বেঁধে বোলিং করে টাইগারদের টপ অর্ডার ধসিয়ে দেন উইয়ান মুল্ডার। দুই পেসারই নেন ৩টি করে উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে এরমধ্যেই বাংলাদেশের দুই ব্যাটারের উইকেট নিয়েছেন রাবাদা।
আর দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে মুল্ডারকে নিয়ে এদিন যখন চোখ রাঙ্গাচ্ছিলেন কাইল ভেরেইনা, তখন জুটি ভাঙেন এই হাসানই। পরের বলে কেশভ মহারাজকে পেয়ে দিয়েছিলেন জোড়া ধাক্কা। তখন আরেকজন পেসারের আক্ষেপে হয়তো পুড়েছেন টাইগার অধিনায়ক।
তাই সংবাদ সম্মেলনের একেবারে শেষে যখন হাসানকে আবারও সেই প্রশ্ন করা হয়, তখন মজা করেই এই পেসার বললেন, 'আমি যদি দুই দিক থেকে বোলিং করতাম, তাহলে সেটা আরও ভালো হতো।'
Comments