লুইসের দানবীয় ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডকে হারাল ক্যারিবিয়ানরা
মাঝে তিন বছরেরও বেশি সময় জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন এভিন লুইস। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিরেছেন গত সিরিজেই। সেই সিরিজেই সেঞ্চুরি করে বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। এবার আরও এক দফা দলের ত্রাতা এই ওপেনার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এনে দিলেন দারুণ এক জয়ের স্বাদ। তার দানবীয় ব্যাটিংয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ক্যারিবিয়ানরা।
বৃহস্পতিবার অ্যান্টিগায় স্যার ভিভ রিচার্ডস স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ইংল্যান্ডকে বৃষ্টি আইনে ৮ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৫.১ ওভারে ২০৯ রানে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। জবাবে ১৫ ওভারে ৮১ রান তোলার পর বৃষ্টি নামলে ডিএলএস ম্যাথোডে পাওয়া ৩৫ ওভারে ১৫৭ রানের লক্ষ্য ৫৫ বল হাতেই রেখেই পেয়ে যায় স্বাগতিকরা।
মাত্র ৬৯ বলে ৯৪ রানের দানবীয় এক ইনিংস খেলেন লুইস। নিজের ইনিংস সাজাতে ছক্কা মেরেছেন ৮টি, সঙ্গে চারও মেরেছেন ৫টি। ব্রান্ডন কিংয়ের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতেই গড়েন ১১৮ রানের জুটি। ৫৬ বলে ৩০ রানে কিং ফিরলে ভাঙে এই জুটি।
এরপর আদিল রশিদের বলে লুইস যখন ফিরে যান ততোক্ষণে জয়ের খুব কাছে চলে যায় ইংল্যান্ড। ছয় রানের জন্য ষষ্ঠ ওয়ানডে সেঞ্চুরি মিস করেছেন। তবে দলকে ঠিকই জয় পাইয়ে দেন এই ব্যাটার। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর বাকি কাজ শেষ করেন কেসি কার্থি ও অধিনায়ক শেই হোপ।
এর আগে বল হাতে দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে ক্যারিবিয়ানদের জয়ের পথ তৈরি করে দেন বোলাররাই। বিশেষ করে বাঁহাতি স্পিনার গুড়াকেশ মোতির স্পিনে ভেঙে পড়ে ইংল্যান্ড। ১০ ওভার বল করে ৪১ রানের খরচায় পেয়েছেন ৪টি উইকেট। ২টি করে শিকার ম্যাথিউ ফোর্ড, জেইডেন সিলস ও আলজেরি জোসেফের।
ইংল্যান্ডের পক্ষে প্রায় সব প্রতিষ্ঠিত ব্যাটারই সেট হয়েছিলেন। দুই অঙ্কে পৌঁছাতেই শেষ হয় তাদের ইনিংস। দায়িত্ব নিতে পারেননি কেউই। সর্বোচ্চ ৪৮ রানের ইনিংস খেলেন লিয়াম লিভিংস্টন। ৩৭ রানের ইনিংস খেলেন স্যাম কারান। এছাড়া ২৭ রান করেন জ্যাকব বেথেল।
Comments