মাইলফলকের ম্যাচ জয়ে রাঙাতে চান মিরাজ

সেই ২০০০ সাল থেকে টেস্ট ক্রিকেটের বনেদি ক্লাবে ঢুকেছে বাংলাদেশ। এরপর মাত্র সাত জন খেলোয়াড় খেলেছেন ৫০ কিংবা তার বেশি টেস্ট। সেখানে মেহেদী হাসান মিরাজের ৫০তম টেস্ট খেলতে নামা নিঃসন্দেহে বড় অর্জন। অনন্য এই অর্জনের দিনে দলের নেতৃত্বও থাকছে তার কাঁধে। জয় দিয়েই এই মাইলফলকের ম্যাচ রাঙাতে চান এই অলরাউন্ডার।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা থাকলেও সাদা পোশাকে এই প্রথম অধিনায়কত্ব করবেন মিরাজ। ম্যাচটি তাই তার জন্য আরও বিশেষ কিছু। সবমিলিয়ে তাই ম্যাচটি জয় দিয়েই রাঙাতে চান তিনি। সেই লক্ষ্যে আজ রাতেই অ্যান্টিগার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে মাঠে নামছেন মিরাজরা।
সব মিলিয়ে তাই দারুণ রোমাঞ্চিত মিরাজ, 'অবশ্যই খুবই ভালো লাগছে। যেহেতু ৫০ টেস্ট খেলব, এটা দেশের জন্য, আমার জন্য ভালো একটি পাওয়া। দেশের জন্য ৫০ টেস্ট খেলা আমি মনে করি অনেক বড় অর্জন। সেটা যেন স্মরণীয় করে রাখতে পারি, সেই চেষ্টা থাকবে।'
এর আগে ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাঠে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেবার খর্বশক্তির দল ছিল ক্যারিবিয়ানরা। এরপর তিন সফরে জয় তো দূরের কথা একটি ম্যাচে ড্রও করতে পারেনি টাইগাররা। সবমিলিয়ে কাজটা বেজায় কঠিন তাদের জন্য।
তারপরও আশাহত হচ্ছেন না অধিনায়ক, 'আমাদের লক্ষ্য থাকবে অবশ্যই ভালো ক্রিকেট খেলা। এর আগে যখন আমরা এখানে খেলেছি, টেস্ট ক্রিকেটে অতটা ভালো করতে পারিনি। গত চার বছরে (১০ বছরে) একটিও জিততে পারিনি। এবার লক্ষ্য থাকবে জয়ের জন্য এবং সবাই যেন পারফর্ম করতে পারে।'
আর অ্যান্টিগায় তো টাইগারদের জন্য অনেক বিব্রতকর অভিজ্ঞতাই রয়েছে। ২০১৮ সালের সফরে প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। আর ২০২২ সালে ১০৩ রানে। এবার সেই মাঠেই প্রথম টেস্ট খেলতে নামছে বাংলাদেশ। অতীতের বিস্মৃতি তাই ভোগাতে পারে টাইগারদের।
তবে এবার ভালো কিছু হবে বলেই বিশ্বাস মিরাজের, 'অ্যান্টিগায় আমরা এর আগে ভালো খেলিনি। বাজেভাবে হেরেছিলাম। এবার আমরা নতুনভাবে এসেছি। এখানে আসার পর ১০ দিনের মতো এখানে অনুশীলন করেছি। একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি, ক্রিকেটাররা অনেক ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমার দল অনেক ভালো করবে।'
'(চেষ্টা থাকবে) সবাই ভালো ক্রিকেট খেলে যেন ম্যাচটা জিততে পারি। ব্যাটসম্যানরা, বোলাররা এবং আমি, স্পিনাররা যারা আছে, সবাই দল হিসেবে যদি খেলতে পারি, তাহলে আশা করি ভালো ফল আসবে,' যোগ করেন মিরাজ।
Comments