চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে সুর নরম পাকিস্তানের, নাকভি বলছেন ‘উইন-উইন সিচুয়েশন’

mohsin naqvi

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে যাওয়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে। নিজেদের কঠোর অবস্থান থেকে সরে এসেছে পাকিস্তান। দীর্ঘ মেয়াদী একটা সমাধান পেয়ে আপাতত হাইব্রিড মডেলেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে রাজী থাকার আভাস মিলেছে তাদের কাছ থেকে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি ও দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মহসিন নাকভির ভাষায় যা- 'উইন-উইন সিচুয়েশন'। 

গত শুক্রবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি কীভাবে আয়োজিত হবে তা নিয়ে আইসিসি বোর্ড পরিচালকদের অনলাইন সভা আয়োজন করে। কিন্তু সিদ্ধান্ত ছাড়াই ১৫ মিনিটে শেষ হয় ওই সভা। এরপর টুর্নামেন্ট নিয়ে তৈরি হয় ধোঁয়াশা।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে ভারত তাদের দল পাকিস্তানে পাঠাতে রাজী নয়, তারা চায় তাদের ম্যাচগুলো আয়োজিত হোক বিকল্প ভেন্যুতে।  আবার আয়োজক পাকিস্তান এই প্রস্তাব শুরু থেকেই উড়িয়ে দিয়ে আসছে। এতে তৈরি হয় অচলাবস্থা। 

তবে শনিবার বরফ গলার আভাস দিলেন নাকভি। দুবাইতে যুব এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে গিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে তিনি বলেন, 'এরমধ্যে অনেক কিছু ঘটেছে। তবে নিশ্চিত করতে পারি পুরো প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করতে পারে এমন কিছু হয়নি। আমরা আমাদের দিক তুলে ধরেছি, ভারত তাদেরটা তুলে ধরেছে। সবাই উইন-উইন অবস্থার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে। এবং নিশ্চিত করতে পারি শেষ বিচারে ক্রিকেট জিততে চলেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে প্রত্যেকেই নিজের গর্বের জায়গাটা ধরে রাখতে পারছে।'

তাহলে কি হাইব্রিড মডেলেই আয়োজিত হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি? এই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে কোন কিছু উড়িয়ে না দিয়ে আবার কিছু রহস্যও রাখলেন নাকভি, 'ক্রিকেটের ভালোর জন্য আমরা পদক্ষেপ নিচ্ছি। যে ফরমুলাই হোক, হাইব্রিড মডেলই নয়। এটা সব পক্ষের সমান অবস্থান তৈরি করবে।'

'আমাদের সবারই মত হচ্ছে দিন শেষে ক্রিকেট যেন জয়ী হয়। আমরা পাকিস্তানের মান বজায় রাখব।'

তিনি জানান, আইসিসি দীর্ঘ মেয়াদী সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে, 'আমি নিশ্চিত করছি সমাধানটা হবে দীর্ঘমেয়াদী। শুধু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য নয়। এটা আগামী কয়েক বছরের জন্যও প্রযোজ্য হবে।'

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজিত হবে। পাকিস্তানের গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান আইসিসির কাছে দুটি প্রস্তাব দিয়েছে। যার একটি আইসিসির রাজস্বের ভাগ বাড়ানো আর দ্বিতীয়টি হলো ভারতে হতে যাওয়া আগামী আইসিসি আসরেও তাদের ম্যাচ হতে হবে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে।

২০২৫ সালে ভারতে হবে মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ২০২৬ সালে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করবে ভারত। ২০৩১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে মিলে পুরুষ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত। এসব আসরে সহজেই পাকিস্তানের ম্যাচ শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে রেখে সূচি করার পথ থাকবে।

২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার পর আর পাকিস্তান সফরে ছেলেদের ক্রিকেট দল পাঠায় না ভারত। ২০০৯ সালে পাকিস্তান সফররত শ্রীলঙ্কা দলের উপর হামলা হলে দেশটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বন্ধ থাকে কয়েক বছর। সেই সংকট কাটিয়ে গত ৪-৫ বছরে নিয়মিতই খেলা হচ্ছে পাকিস্তানে। ভারত ছাড়া সব দেশই এরমধ্যে পাকিস্তান সফর করেছে। গত এশিয়া কাপের আয়োজকও ছিলো পাকিস্তান, তবে ভারতের আপত্তিতে খেলা হয় হাইব্রিড মডেলে। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে অবশ্য ভারতে গিয়ে খেলেছে পাকিস্তান। রাজনৈতিক বৈরি দুই দেশ কোন বৈশ্বিক ক্রিকেট আসরে আয়োজক হলেই এই সংকট এখন নিয়মিত। 

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh tops sea arrivals to Italy

The number of Bangladeshis crossing the perilous Mediterranean Sea to reach Italy has doubled in the first two months this year in comparison with the same period last year.

7h ago