গিনিতে ফুটবল ম্যাচে সংঘর্ষে ও পদদলিত হয়ে ৫৬ জনের মৃত্যু

রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের পর স্টেডিয়ামে উপস্থিত দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে বেঁধে গেল সংঘর্ষ। কিছুক্ষণের মধ্যে তা ধারণ করল ভয়াবহ রূপ। ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালানোর চেষ্টায় পদদলিত হলো অনেকে। সব মিলিয়ে বিভীষিকাময় পরিস্থিতি। গিনিতে ফুটবল ম্যাচকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া সংঘাতে প্রাণ গেল ৫৬ জনের।
সোমবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সংখ্যা নিশ্চিত করেছে আফ্রিকার দেশটির সরকার। এদের মধ্যে অনেক শিশুও রয়েছে। তবে এই তথ্য প্রাথমিকভাবে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
গিনির সামরিক জান্তা সরকারের নেতা মামাদি দুম্বুইয়ার সম্মানে দেশটির অন্যতম বৃহত্তম শহর এনজেরেকোতে আয়োজিত একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে গতকাল এই বর্ণনাতীত ঘটনা ঘটে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, রেফারির সিদ্ধান্তের ক্ষুব্ধ হওয়া সফরকারী দলের সমর্থকরা মাঠের মধ্যে পাথর ছুড়ে মারতে শুরু করে। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, 'সংঘর্ষের শুরুটা হয়েছিল রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে। তারপর সমর্থকরা মাঠের ভেতরে হানা দেয়।'
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চিকিৎসক এএফপিকে বলেছেন, 'হাসপাতালে যতদূর চোখ যায়, সারিবদ্ধভাবে লাশ রাখা আছে। বাকিদের শুইয়ে রাখা হয়েছে করিডোরের মেঝেতে। মর্গ লাশে ভর্তি।'
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, স্টেডিয়ামের বাইরে বিশৃঙ্খলা চলছে। মাটিতে অনেক মৃতদেহ পড়ে আছে। প্রবল আতঙ্কিত বাকিরা দেয়াল টপকে স্টেডিয়ামের বাইরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে সেগুলো যাচাই করে সত্যতা বের করতে পারেনি।
দায়ীদের খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে গিনির সামরিক জান্তা সরকার। প্রধানমন্ত্রী ওরি বাহ একটি বিবৃতিতে সংঘর্ষে ও পদদলিত হয়ে ৫৬ জনের মৃত্যুর ঘটনাটিকে 'বিষাদময়' হিসেবে অভিহিত করেছেন। শোকাহতদের প্রতি সমবেদনাও জানিয়েছেন তিনি।
Comments