ব্রিসবেনে বৃষ্টির বাগড়া, খেলা হলো ৮০ বল

ছবি: এএফপি

ব্রিসবেনের আবহাওয়া মেঘাচ্ছন্ন হওয়ায় ও উইকেটে ঘাস থাকায় টস জিতে বোলিং বেছে নিলেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। উদ্দেশ্যটা স্পষ্ট, পেসারদের ব্যবহার করে শুরুতেই কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগানো। কিন্তু জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ ও আকাশ দীপ যখন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারকে পরীক্ষায় ফেলতে লাগলেন, তখন তুমুল বৃষ্টিতে বন্ধ হয়ে গেল খেলা। এরপর আর মাঠে নামা সম্ভব হলো না দুই দলের ক্রিকেটারদের।

শনিবার বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির তৃতীয় টেস্টের প্রথম দিনে খেলা হয়েছে ১৩.২ ওভার বা ৮০ বল। ভারতের পেসারদের তৈরি করা চাপ সামলে অস্ট্রেলিয়া স্কোরবোর্ডে জমা করেছে বিনা উইকেটে ২৮ রান। বাঁহাতি উসমান খাওয়াজা খেলছেন ৪৭ বলে ১৯ রানে। তার ইনিংসে চার তিনটি। ডানহাতি ন্যাথান ম্যাকসুয়েনি অপরাজিত আছেন ৩৩ বলে ৪ রানে।

পেসবান্ধব পিচে ভারত ব্যবহার করতে পেরেছে তিন পেসার। বুমরাহ ৬ ওভারে তিনটি মেডেনসহ দিয়েছেন ৮ রান। ১৩ রান খরচ করা সিরাজের ৪ ওভারের দুটি মেডেন। হার্শিত রানার জায়গায় একাদশে ফেরা আকাশ ছিলেন বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল। তিনি ৩.২ ওভারে দুটি মেডেনসহ দিয়েছেন ২ রান। সফরকারীদের একাদশে আরও একটি পরিবর্তন এসেছে। অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের জায়গায় ঢুকেছেন বাঁহাতি স্পিনিং অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা।

বৃষ্টির শঙ্কা মাথায় নিয়েই নির্ধারিত সময়ে শুরু হয় ব্যাট-বলের লড়াই। ৫.৩ ওভারের পর প্রথমবারের মতো খেলা বন্ধ হয় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টির কারণে। এই সময়ে বুমরাহ ও সিরাজ লাইন ও লেংথ নিয়ে কিছুটা ভুগছিলেন। সেটার ফায়দা নিতে ভুল করেননি খাওয়াজা। সুযোগ পেলেই তিনি আদায় করে নেন বাউন্ডারি। আধা ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফের খেলা চালু হয়। এই দফায় পেসাররা নিয়মিত বেকায়দায় ফেলতে থাকেন দুই অজি ওপেনারকে। বিশেষ করে, ম্যাকসুয়েনিকে ভোগান অষ্টম ওভারে আক্রমণে যাওয়া আকাশ।

ভারতকে হতাশায় পুড়িয়ে মুষলধারে বৃষ্টি নামলে ১৩.২ ওভারের পর খেলা থেমে যায়। দ্বিতীয় দফা বৃষ্টির আগে হয় ৭.৫ ওভার। মাত্র ৯ রান খরচ করেন ভারতীয় পেসাররা। বৃষ্টির বাগড়ায় দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেশনে মাঠে নামতেই পারেনি দুই দল। অস্ট্রেলিয়ার অবশ্য খুশিই থাকার কথা। কারণ, উইকেট হারানোর মতো পরিস্থিতি সত্ত্বেও টিকে গেছেন তাদের দুই ওপেনার।

স্থানীয় সময় বিকাল তিনটার দিকে (বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টার দিকে) বৃষ্টি কমে আসলেও কিছুক্ষণ পর আবার বেড়ে যায়। তাই দিনের খেলার ইতি টেনে দেন মাঠের দুই আম্পায়ার। স্থানীয় সময় বিকাল সোয়া চারটার দিকে (বাংলাদেশ সময় সকাল সোয়া ১১টার দিকে) আসে সেই ঘোষণা।

Comments

The Daily Star  | English

Divisions widen over July Charter’s status, implementation

Major political parties are divided over the July Charter’s implementation timeline

11h ago