তামিমের ৯১ রানের পরও সালমান ঝড়ে হারল চট্টগ্রাম

এক প্রান্তে দারুণ ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম বিভাগকে বড় পুঁজিই এনে দেন তামিম ইকবাল। অসাধারণ ইনিংসে ৯ রানের জন্য আক্ষেপের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত হারের আক্ষেপও মিলেছে তার। সালমান হোসেনের দানবীয় ব্যাটিংয়ে দারুণ এক জয় পেয়েছে বরিশাল বিভাগ।

রোববার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতে চট্টগ্রামকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে বরিশাল। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৮২ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে শেষ বল পর্যন্ত ব্যাট করে জয় ছিনিয়ে নেয় বরিশাল।

এদিন শেষ ওভারে জয়ের জন্য বরিশালের প্রয়োজন ছিল ২৫ রানের। হাতে পাঁচ উইকেট থাকলেও কাজটা সহজ ছিল না। তার উপর ইরফান হোসেনের প্রথম বলে আসেনি কোনো রান। কিন্তু এরপর টানা চারটি বাউন্ডারিতে সেই লক্ষ্য মামুলী বানিয়ে দেন সালমান। যার মধ্যে তিনটিই ছক্কা। এরপর একটি বল ডট হলেও শেষ বলে চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন সালমান।

অবশ্য লক্ষ্য তাড়ায় নেমে আব্দুল মজিদের সঙ্গে ওপেনিং জুটিতে ৭২ রানের জুটি গড়ে ভাল সূচনা এনে দেন ইফতেখার হোসেন। ওপেনিং জুটি ভাঙার পর অবশ্য নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট পড়েছে। কিন্তু নিয়মিত বাউন্ডারি আদায় করে রানের গতি সচল রাখেন ব্যাটাররা। তবে শেষ দিকে সালমানের বিধ্বংসী রূপ ধারণে কাজটা সহজ হয়ে যায় তাদের জন্য।

২৮ বলে ৫৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন সালমান। নিজের ইনিংসটি সাজান ২টি চার ও ৪টি ছক্কায়। মোট ছয় বাউন্ডারির পাঁচটি আদায় করেন শেষ ওভারে। ৩৯ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৬ রান করেন ইফতেখার। ১৬ বলে ২৬ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন মঈন খান।

তবে এতো কিছুর পরও ম্যাচ জয়ের সুযোগ ছিল চট্টগ্রামের। শেষ ওভারে একটি নো-বলও করেন ইরফান। সেক্ষেত্রে ম্যাচ টাই হতেও পারতো। অথচ আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিমের ব্যাটে বড় পুঁজিই মিলেছিল তাদের। ৫৪ বলে খেলেন ৯১ রানের এক ঝলমলে ইনিংস।

যদিও ইনিংসের শুরুতে তামিম ছিলেন বেশ সাবধানী। এক পর্যায়ে ১৮ বলে ছিল ১৫ রান। এরপর ধীরে ধীরে খোলস ভেঙে চার ছক্কার ফুলঝুরি ছোটাতে শুরু করেন। ৩৭ বলে ফিফটি ছোঁয়া এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা মারেন এই ওপেনার। ১৭তম ওভারে শিকার হন মেহেদী হাসানের। টি-টোয়েন্টিতে এ নিয়ে চতুর্থবার নব্বই ছুঁয়ে সেঞ্চুরির আগে থামলেন তামিম।

তবে তামিমকে সে অর্থে সঙ্গ দিতে পারেননি দলের অন্য কোনো ব্যাটার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২২ রান করেন মাহমুদুল হাসান জয়। অন্যদিকে তামিমের ঝড়ের মধ্যেও চার ওভার বল করে ২৫ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন মেহেদী।

একই সময়ের অপর ম্যাচে জিসান আলমের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে খুলনা বিভাগকে হারিয়েছে সিলেট বিভাগ। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নুরুল হাসান সোহানের ৪৮ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৪৪ রান করে খুলনা। জবাবে ৯ বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জয় তুলে নেয় সিলেট।

তৌফিক খান তুষারকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে ৭৮ রান তুলে দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন জিসান। এরপর দ্রুত ২টি উইকেট হারালেও জিসানের ঝড়ে তেমন সমস্যা হয়নি। ৪৮ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন এই তরুণ, নিজের ইনিংস সাজান ৪টি চার ও ৬টি ছক্কায়।

Comments

The Daily Star  | English

Students protest condemning brutal murder of trader near Mitford

Lal Chand, alias Sohag, was beaten and murdered in front of Mitford Hospital allegedly by rivals over dominance of scrap trade

3h ago