ফিরেই রান পেলেন তাওহিদ-মুশফিক, জেতাতে পারেননি দলকে

চোট থেকে ফিরে এদিনই প্রথম জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নেমেছিলেন তাওহিদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিম। ফেরার ম্যাচে রান পেয়েছেন এ দুই তারকা ক্রিকেটার। গড়েছিলেন দারুণ এক জুটিও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারেননি তারা। শেষ ওভারে দারুণ বোলিং করে চট্টগ্রাম বিভাগের জয়ের নায়ক স্পিনার নাঈম হাসান।

মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টির ম্যাচে রাজশাহী বিভাগকে ৪ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯৮ রান করে তারা। জবাবে নিজেদের নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৪ রানের বেশি করতে পারেনি রাজশাহী।

তবে তাওহিদ ও মুশফিক যখন ব্যাটিং করছিলেন তখন মনে হয়েছিল সহজেই জয় পাবে রাজশাহী। চতুর্থ উইকেটে ১০২ রানের জুটি গড়েন জাতীয় দলের এ দুই ব্যাটার। কিন্তু ১৯তম ওভারে মুশফিককে ফিরিয়ে ম্যাচে ফিরে আসে চট্টগ্রাম। আর শেষ ওভারের নাটকীয়তায় জয় পেয়ে যায় তারা।

নাঈম হাসানের করা শেষ ওভারে ১৩ রানের প্রয়োজন ছিল রাজশাহীর। প্রথম বলটি ছিল লো ফুলটস, ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তাওহিদ। তবে উইকেটে নেমে পরের বলে ছক্কা হাকিয়ে ম্যাচ জমিয়ে দিয়েছিলেন প্রিতম কুমার। পরে ওয়াইড থেকে বাড়তি একটি রান ও বল পেয়ে যায় তারা।

কিন্তু এর পরের বলে প্রিতম এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়লে আবার ম্যাচে ফেরে চট্টগ্রাম। এর পরের বলে রানআউট হন নিহাদুজ্জামান। শফিউল নেমে সিঙ্গেল নিয়ে ফরহাদ রেজাকে স্ট্রাইক দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ বলে ব্যাটেই লাগাতে পারেননি রেজা। দারুণ এক জয় পেয়ে যায় চট্টগ্রাম।

এদিন লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতে জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে হারিয়েছিল রাজশাহী। আরেক ওপেনার হাবিবুর রহমানের ব্যাটে প্রতিরোধ গড়ে দলটি। তবে দলীয় ৭৫ রানে তিনি ফিরে গেলে দলের হাল ধরেন তাওহিদ ও মুশফিক। দারুণ জুটি গড়লেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি তারা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৯ রানের ইনিংস খেলেন তাওহিদ। ৫০ বলে ৩টি চার ও ৬টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। মুশফিক খেলেন ৪৬ রানের ইনিংস। ৩১ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ২০ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩৯ রান করেন হাবিবুর।

চট্টগ্রামের পক্ষে ৩৮ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন আহমেদ শরিফ। ২৫ রানের বিনিময়ে নাঈমের শিকার ২টি।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে মুমিনুল হকের ব্যাটে ভালো সূচনা পায় চট্টগ্রাম। ওপেনিংয়ে নেমে অবশ্য ব্যর্থ হয়েছেন জাতীয় দলের তারকা মাহমুদুল হাসান জয়। ব্যক্তিগত ১১ রানে ক্যাচ তুলে দেন বোলার শফিউল ইসলামের হাতে। এরপর জাতীয় দলের আরেক তারকা শাহাদাত হোসেন দিপুর সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়েন মুমিনুল। এরপর দ্রুত এ দুই ব্যাটার ফিরে গেলে এক প্রান্ত আগলে এগিয়ে যেতে থাকেন ইরফান শুক্কুর। চতুর্থ উইকেটে ইয়াসির আলির সঙ্গে ৩৯ ও নাঈমের সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ৪৬ রানের জুটি গড়েন তিনি। তাতেই বড় পুঁজি পেয়ে যায় দলটি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন শুক্কুর। ২৯ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। মুমিনুল করেন ৫২ রান। ৩৬ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। ১৫ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩৫ রান করেন শাহাদাত। ১০ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ২০ রানের ক্যামিও খেলে অপরাজিত থাকেন নাঈম।

রাজশাহীর পক্ষে ২১ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন সাব্বির হোসেন।  

একই সময়ের অপর ম্যাচেও হয়েছে দারুণ লড়াই। সিলেট অধিনায়ক মাহফুজুর রাব্বির ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পরও ১ রানে জয় পেয়েছে ঢাকা মেট্রো। প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৬ রান করে তারা। জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান তুলতে সমর্থ হয় সিলেট বিভাগ।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে সতীর্থরা ব্যর্থ হলেও এক প্রান্ত আগলে দলকে জয়ের পথে রেখেছিলেন অধিনায়ক রাব্বি। ৩৯ বলে খেলেন ৮২ রানের ইনিংস। যেখানে ৩টি চার ও ৭টি ছক্কায় এই রান করেন তিনি। তাতেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। 

 

Comments

The Daily Star  | English
Tariffs

Economic lessons from the tariff war

Our understanding of tariffs might not be complete.

7h ago