টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ

nicholas pooran

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াটওয়াশ হলেও টি-টোয়েন্টিতে তুলল শোধ। ব্যাটে-বলে দাপট দেখিয়ে প্রতিপক্ষকে এবার ফিরিয়ে দিল একই স্বাদ। সিরিজের শেষ ম্যাচে জাকের আলি অনিকের ফিফটির পর সম্মিলিত বোলিং আক্রমণে বিশাল জয় পেল লিটন দাসের দল।

সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ জিতেছে  ৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে। আগে ব্যাট করে করে জাকেরের ৪১ বলে ৭২ রানে ভর করে ১৮৯ রান করে লাল সবুজের দল। পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে থামিয়ে দেয় স্রেফ ১০৯  রানে। 

ব্যাটিংয়ে এদিন সব আলো জাকের কেড়ে নিলেও বোলিংয়ে অবদান বেশ কজনের। রিশাদ হোসেন ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সবচেয়ে সফল। শেখ মেহেদী হাসান ১৩ রানে পান ২ উইকেট, ৩০ রানে ২ শিকার ধরেন তাসকিন আহমেদ। একটি করে উইকেট নেন বাকি দুই পেসার। 

১৯০ রান তাড়ায় নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় বলেই খায় ধাক্কা। পুরো সিরিজে দারুণ বল করা তাসকিন আহমেদ এলবিডব্লিউতে খালি হাতে ফেরান ব্র্যান্ডন কিংকে। অভিষিক্ত জাস্টিন গ্রেইভসকে পরের ওভারে তুলে নেন শেখ মেহেদী। ৭ রানে ২ উইকেট হারানো দলকে পাল্টা আক্রমণে টেনে তুলছিলেন নিকোলাস পুরান-জনসন চার্লস। দ্রুত রান আনে ভালো কিছুর আভাস দিচ্ছিলেন তারা। তবে ৩৮ রানের জুটিটি থামান শেখ মেহেদী। এক ছক্কার পর আরেকটি মারতে গিয়ে বোল্ড হন ১০ বলে ১৫ করা পুরান।

খানিক পর চার্লস আয়েশি ভঙিমায় রান নিতে গিয়ে হন রান আউট। ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ক্যারিবিয়ানরা। অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল খাদের কিনার থেকে তার দলকে জাগাতে পারেননি। ১২ বল খুইয়ে স্রেফ ২ রান করে রিশাদ হোসেনের বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে।  এরপর রোমারিও শেফার্ড ঝড়ো ব্যাটিংয়ে কেবল হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছেন।

টস জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন সৌম্য সরকারের চোটে সুযোগ পাওয়া পারভেজ হোসেন ইমন। তার সঙ্গে মিলে বাজে ছন্দ কাটানোর আভাস দিচ্ছিলেন লিটনও। ৪ ওভারে চলে আসে ৪০ রান। পঞ্চম ওভারে জোর করে পুল মারার চেষ্টায় ফেরেন ১৩ বলে ১৪ করা লিটন, অধিনায়কত্বে পুরো মার্কস পেলেও ব্যাটিং দিয়ে আবার হতাশ করলেন তিনি পরের ওভারে আরেক ছক্কা মারার পর বিদায় নেন ইমনও। পাওয়ার প্লেতে আসে ২ উইকেটে ৫৪ রান।

এদিন আকিল হোসেন না থাকায় পাওয়ার প্লেতে স্পিনার আনেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাদের বোলিংও ছিল বেশ খাপছাড়া।  পাওয়ার প্লের পর গুডাকেশ মোটি এসে তুলে নেন তানজিদ হাসান তামিমকে। এই তরুণও পুরো সিরিজে ব্যর্থ। এবার ফেরেন ৯ বলে ৬ রান করে। এরপর দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন মেহেদী হাসান মিরাজ। জাকের আলি অনিকের সঙ্গে গড়ে তুলেন জুটি। ৩১ বলে ৩৭ রানের জুটির পর ২০ বলে ২৭ করে ছক্কার চেষ্টায় থামেন মিরাজ।

এরপর জাকেরের সঙ্গে যুক্ত হন শামীম হোসেন পাটোয়ারি। প্রথম দুই ম্যাচের হিরো এবার ব্যর্থ, ৪ বলে ২ রান করে হোন রান আউট। যদিও এই রান আউট নিয়ে হয় নাটকীয়তা, জাকেরকে শুরুতে আউট দেওয়ায় তিনি চলে যান ড্রেসিংরুমে। পরে চতুর্থ আম্পায়ারকে তাকে সেখান থেকে ফিরিয়ে আনেন, আউট দেয়া হয় শামীমকে। খানিক পর আরেক রান আউট, এবার বিদায় নেন শেখ মেহেদী হাসান।

রান আউট ভেবে ড্রেসিংরুমে চলে গিয়ে আবার ফেরা জাকের এরপর সুপার হিরো। ১৬ বলে ১৭ থেকে করেন ৪১ বলে ৭২। তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে সপ্তম উইকেটে যোগ করেন ২৬ বলে ৫০। শেষ ওভারে পর পর তিন ছক্কায় দলকে নেন দুইশোর কাছে। যা দিয়ে ম্যাচ জেতা অনায়াসে হয়ে যায় বাংলাদেশের।

Comments

The Daily Star  | English

'Most of them had lost parts of their skulls'

167 admitted to National Institute of Neurosciences & Hospital during July uprising, doctor tells ICT-1

16m ago