১৯ বছর পর নিউজিল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতল শ্রীলঙ্কা

সেই ২০০৬ সালের পর নিউজিল্যান্ডের মাঠে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিততে পারছিল না শ্রীলঙ্কা। তাই সিরিজ হার নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরও ম্যাচটি ছিল তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কুশল পেরেরার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিতে হারের বলয় ভাঙতে পেরেছে তারা। দারুণ জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়িয়েছে দলটি।
বৃহস্পতিবার নেলসনে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ২১৮ রান করে তারা। জবাবে নিজেদের নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১১ রানের বেশি করতে পারেনি কিউইরা।
রান তাড়ায় নেমে টিম রবিনসন ও রাচিন রবিন্দ্রর ব্যাটে ৮১ রানের ওপেনিং জুটি পায় নিউজিল্যান্ড। ৩৯ বলে ৬৯ রান করেন রাচিন। রবিনসন খেলেন ৩৭ রানের ইনিংস। তাতে প্রথম ১৫ ওভারে প্রায় ১১ রান ওভার প্রতি তুলে জয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল নিউজিল্যান্ড। ১৫তম ওভারে চারিথ আসালঙ্কার বলে যখন টানা চারটি ছক্কা মেরে ২৫ রান যোগ করেন ড্যারিল মিচেল, তখন মনে হয়েছিল নিউজিল্যান্ডের মাঠে লঙ্কানদের জয় অধরাই থেকে যাবে। তবে এরপর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় লঙ্কান বোলাররা।
১৬তম ওভারে মিচেল হায় ও মাইকেল ব্রেসওয়েলকে তুলে নেওয়ার পরের ওভারে ড্যারিল মিচেলকে তুলে নিলে কিছুটা স্বস্তি নামে লঙ্কান শিবিরে। কিন্তু জ্যাকারি ফাউলকসের শেষ ওভারের ব্যাটিং আবারও শঙ্কায় ফেলে দেয় তাদের। স্নায়ুচাপ সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত সাত রানের ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা।
তবে এই জয় মূলত কুসল পেরেরার প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরির জন্যই সম্ভব হয়েছে। শ্রীলঙ্কার পক্ষে সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরিও এটা, যা মাত্র ৪৪ বলে করা। পাওয়ারপ্লে চলাকালীন ক্রিজে এসে ইনিংসের শেষ দুই ওভারের আগে ৪৬ বলে ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১০১ রান করে আউট হন এই ব্যাটার। তার এমন প্রভাবশালী ইনিংসের ফলে শেষ দুই ওভারে খুব একটা রান না হলেও নিজেদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় দলটি।
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন আসালঙ্কাও। মিচেলের তীব্র আক্রমণ সত্ত্বেও, ২৪ বলে ৪৬ রান করার পাশাপাশি তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়াও এক অসাধারণ ক্যাচ নিয়ে নিজের পারফরম্যান্সের ছাপ রাখেন তিনি। তবে ম্যাচসেরার পুরস্কারের ক্ষেত্রে কুসল পেরেরা থেকে নজর সরানো সম্ভব ছিল না।
Comments