'তাসকিন ভালো বোলার, ওর ওভার কাটিয়ে দিতে হবে'

রীতিমতো গলির বোলারদের মতো পেটালেন দুর্বার রাজশাহীর বোলারদের। তবে ব্যতিক্রম ছিলেন কেবল একজন। পেসার তাসকিন আহমেদকে সমীহ করতে হয়েছে উসমান খানকে। কারণ আগের দিনই সাত উইকেট নেওয়া এই পেসার রয়েছেন দারুণ ছন্দে। তাই তার ওভার কাটিয়ে দেওয়াই লক্ষ্য ছিল উসমানের।
শুক্রবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীকে ১০৫ রানে হারানোর ম্যাচে চিটাগং কিংসের হয়ে ক্যারিয়ার সেরা ১২৩ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেছেন উসমান। ৬২ বলের যে ইনিংসে ১৩টি চারের সঙ্গে ৬টি ছক্কা মারেন এই পাকিস্তানি ব্যাটার।
এদিন তাসকিন ছাড়া রাজশাহীর আর কোনো বোলার কোনো ধরণের অস্বস্তিতে ফেলতে পারেননি উসমানকে। প্রতি ওভারেই পেয়েছেন আলগা বল। তার সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি করে এই পাকিস্তানি। যা এই আসরে তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে পেয়েছিলেন প্রথমটি।
তবে সেদিনের তুলনায় এদিন তিন অঙ্ক স্পর্শ করতে তেমন কোনো পরীক্ষায় পড়তে হয়নি উসমানকে। ম্যাচ শেষে নিজেও স্বীকার করলেন বিষয়টি, 'বিষয়টা এমন ছিল যে, তাসকিন আহমেদ ভালো বোলার, তাই ওর ওভারগুলো কাটিয়ে দিতে হবে। দুই ওভার ভালো করেছিল। এরপর যখন ব্যাটে-বলে লাগতে শুরু করল, লম্বা খেলার পরিকল্পনা করেছি। তাই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।'
অবশ্য তাসকিনের করা দ্বিতীয় ওভারেই টানা দুটি বাউন্ডারি আদায় করে আগ্রাসনের শুরু তার। এর পরের ওভারে তো হাসান মুরাদকে মারেন টানা চারটি বাউন্ডারি। এরমধ্যে একটি ছক্কা। এরপর নিয়মিত বাউন্ডারি তুলে ২১ বলেই পূরণ করেন ফিফটি। ৩৮ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া এই ব্যাটারকে থামিয়েছেন সেই তাসকিনই।
সব মিলিয়ে তাই দারুণ খুশি উসমান, 'সবার আগে আল্লাহপাকের দরবারে শুকরিয়া জানাই। খুব উপভোগ করেছি। উইকেট ভালো ছিল। আমার ভাবনা ছিল লম্বা ইনিংস খেলব। সেভাবেই চেষ্টা করেছি।' একই সঙ্গে উপভোগ করছেন দারুণ, 'অনেক বেশি মজা করছি আমরা। (চট্টগ্রামে) এর আগেও আমি খেলেছি আমি। ম্যানেজমেন্ট খুব ভালো তাই খুব উপভোগ করছি।'
Comments