সাকিবকে ফেরাতে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবে বিসিবি

সাকিব আল হাসান। ফাইল ফটো

ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে সাকিব আল হাসানকে নিয়েই স্কোয়াড ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকারের নির্দেশে তাকে খেলতে পারেনি তারা। দেশের ফেরার পথে আটকে দেওয়া হয় তাকে। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি দেশের বাইরে হওয়ায় সাকিবকে ফেরাতে ফের মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন বিসিবি প্রধান ফারুক আহমেদ।

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর। এবার হাইব্রিড মডেলে পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে আসরটি। দেশের বাইরে খেলা হওয়ায় নিরাপত্তাজনিত কোনো ঝামেলা নেই সাকিবের। তাই সরকারের সঙ্গে তাকে ফেরানোর বিষয়ে আলোচনা করবেন বিসিবি প্রধান, 'সাকিব এখনও তো অবসর নেয়নি। তেমন কোনো কিছু হয়নি সাকিবের। চেষ্টা না, এটা হলো গিয়ে সাকিব এখনও যদি অবসর নিয়ে নিতো... তাহলে বলতাম ও আর নাই। ওর যে ইস্যুগুলো আছে, মাঝে মাঝে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে ওটা কী করা যায়।'

দেশের বাইরে খেলা হলেও সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পেলে সাকিবকে বিবেচনায় আনা হবে না বলেই ইঙ্গিত দিলেন ফারুক, 'আমার সাহায্য করা কোনো ব্যাপার না। আমি আগেও বলছি, এখনও বলছি। এটা শুধুমাত্র সরকারি পর্যায় যদি কোনো নির্দেশনা আসে, ওর যে সমস্যাগুলো আছে; ওগুলো যদি ঠিক করতে পারে। তাহলেই কিন্তু আমার মনে হয় এটা একটা ব্যাপার ডিসিশন নিতে পারে। তারপর তার ফিটনেস, মেন্টাল স্টেট, সিলেকশন কমিটি আছে তারা সিদ্ধান্ত নেবে।'

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সেই সিরিজে দেশে ফিরতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুবাই পর্যন্ত এসেছিলেন সাকিব। কিন্তু তার দেশে আসার খবরে মিরপুরে বিক্ষোভ করেন কিছু মানুষ। তাই নিরাপত্তাজনিত কারণে তাকে দেশে আসতে নিষেধ করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। মূলত 'অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে' সাকিবকে দেশে না ফেরার পরামর্শ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।

ফারুক তুলে আনলেন সেই বিষয়টিও, 'সাকিবের ব্যাপারটা আমি বলেছি, আসলে এটা আমি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে আমি বলেছিলাম। মন্ত্রণালয় যখন বলেছে আমরাই এখানে অ্যানাউন্স করেছিল। আমাদের যে ক্রীড়া উপদেষ্টা আছে সে বলছেন সাকিব খেলবে, সরকার তার যে সমস্যাটা সেটা দেখবে। তারপর শেষে যখন আসলো যে আমরা এটা একটা সিকিউরিটি থ্রেট আছে তখন বন্ধ হয়ে যায়। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তো দেশের বাইরে...এটা বিপিএলের মাঝে সেলেক্টরদের সঙ্গে বসেই একটা সিদ্ধান্ত নিতে হবে।'

দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই সাকিবকে নিয়ে শুরু হয় নানা জটিলতা। খেলোয়াড় হওয়ার পাশাপাশি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দলের একজন সংসদ সদস্য ছিলেন সাকিব। হত্যা মামলায় আসামী করা হয় তাকে। ভারত সফরে কানপুর টেস্টের আগে সাকিব জানান, মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই সাদা পোশাকে শেষ ম্যাচটা খেলতে চান। যে কারণে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি।

Comments

The Daily Star  | English

UN says cross-border aid to Myanmar requires approval from both govts

The clarification followed Foreign Adviser Touhid Hossain's statement on Sunday that Bangladesh had agreed in principle to a UN proposal for a humanitarian corridor to Myanmar's Rakhine State

1h ago