জ্বলে উঠলেন রিশাদ, সহজ জয় বরিশালের

ঢাকা পর্বে রিশাদ হোসেনকে একাদশেই রাখেনি ফরচুন বরিশাল। তবে সিলেট পর্বে একাদশে জায়গা পান এই লেগস্পিনার। প্রথম ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে আহামরি পারফর্ম করতে না পারলেও সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন তিনি। তার সঙ্গে জ্বলে ওঠেন বাঁহাতি স্পিনার জাহান্দাদ খানও। তাতে সহজ জয় পেয়েছে গতবারের চ্যাম্পিয়নরা।
মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ফরচুন বরিশাল। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮.২ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১২৫ রান তুলতে সমর্থ হয় স্বাগতিকরা। জবাবে ৫৭ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় বরিশাল।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটাই ভালো করতে পারেনি সিলেট। শুরুতেই খালি হাতে ফিরে যান রনি তালুকদার। খুব বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রাখিম কর্নওয়েলও। ব্যক্তিগত ১৮ রানে ফিরে যান শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে। এরপর জাকির হোসেনের সঙ্গে জর্জ মানসি ৪৯ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন। তবে এ জুটি ভাঙতেই ভেঙে পড়ে সিলেটের ব্যাটিং লাইনআপ।
এরপর স্কোরবোর্ডে ৪৯ রান যোগ করতেই শেষ আটটি উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। অধিনায়ক আরিফুল হক ছাড়া আর কেউই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। সিলেটের মিডল অর্ডার ধসিয়ে দেন জাহানবাদ। লেজ ছাঁটাইয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন রিশাদ। ফলে সাদামাটা স্কোর নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। ২৯ বলে ৩৯ রান করেন আরিফুল। মানসি ২৮ ও জাকির ২৫ রান করেন।
বরিশালের পক্ষে ৪ ওভার বল করে ১৫ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নেন রিশাদ। জাহান্দাদ ১৮ রানের বিনিময়ে পান ৩টি উইকেট। ২টি শিকার ফাহিম আশরাফের।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো ছিল না বরিশালেরও। আগের ম্যাচের নায়ক তামিম ফিরে যান কর্নওয়েলের প্রথম বলেই। ব্যর্থতার বৃত্ত আরও বড় করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যক্তিগত ৪ রানে ফিরে যান জাতীয় দলের অধিনায়ক। এরপর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে দলের হাল ধরেন কাইল মেয়ার্স। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে তৃতীয় উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১১৬ রান যোগ করেন তারা।
জয় থেকে মাত্র ৪ রান দূরে সাজঘরে ফেরেন তাওহিদ। এরপর বাকি কাজ জাহান্দাদকে নিয়ে শেষ করেন মেয়ার্স। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৫৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। ৩১ বলের ইনিংসটি সাজাতে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন এই ক্যারিবিয়ান। ২৭ বলে ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৮ রান করেন তাওহিদ। ২টি শিকার তানজিম সাকিবের।
Comments