শেষ ওভারে ৩০ রান নিয়ে রংপুরকে জেতালেন সোহান

হতে পারতেন ম্যাচের খলনায়ক। তার ভুলেই আউট হয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান। কিন্তু অবিশ্বাস্য কিছু করবেন ভেবেই যেন মাঠে নেমেছিলেন রংপুর রাইডার্স অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। শেষ ওভারের প্রয়োজনীয় ২৬ রানের অঙ্ক মিলিয়ে দিলেন কতো সহজে। ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৩০ রান তুলে জেতালেন দলকে। তাতে বিপিএলে অপরাজিতই রইল রংপুর।  

বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৭ রান করে বরিশাল। জবাবে শেষ বল পর্যন্ত খেলে জয় নিশ্চিত করে সোহানের দল।

ম্যাচের শেষ দিকে হয় নাটকীয়তার পর নাটকীয়তা। ইফতেখার আহমেদ ও খুশদিল শাহ যখন ব্যাটিং করছিলেন তখন মনে হয়েছিল সহজ জয়ের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল রংপুর। কিন্তু ১৮তম ওভারে দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ৩ রান দেওয়ার পাশাপাশি ইফতেখারকেও তুলে নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। পরের ওভারে খুশদিলসহ তিনটি উইকেট তুলে নেন জাহান্দাদ খান। তাতে ম্যাচে হেলে যায় বরিশালের দিকে।

ফলে শেষ ওভারে প্রয়োজন হয় ২৬ রানের। কাইল মেয়ার্সের হাতে বল তুলে দেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এই মেয়ার্সের ব্যাটেই দুইশর কাছাকাছি পুঁজি পেয়েছিল তারা। কিন্তু তার করা শেষ ওভারের প্রতিটি বলেই বাউন্ডারি আদায় করে নেন সোহান। যার মধ্যে ৩টি ছক্কা। শেষ বলেও যখন জিততে ২ রান প্রয়োজন তখন ছক্কা মেরেই উদযাপন করেন রংপুর অধিনায়ক। শেষ পর্যন্ত ৭ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন সোহান।

তবে রংপুরকে আগেই জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ইফতেখার ও খুশদিল। তৃতীয় উইকেটে ৯১ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। পরে শাহিনের বলে ইফতেখার আউট হলে ভাঙে জুটি। যদিও তার আউট নিয়ে শতভাগ নিশ্চিত ছিলেন না তৃতীয় আম্পায়ারও। অসন্তোষ নিয়ে মাঠ ছাড়েন এই পাকিস্তানি। ৩৬ বলে ৩টি করে চার ও ছক্কায় ৪৮ রান করেন তিনি।

জাহান্দাদের করা ১৯তম ওভারে প্রথম দুই বলে ছক্কা মারেন খুশদিল। কিন্তু তৃতীয় বলে আরও একটি মারতে গিয়ে আউট। ২৪ বলে ২টি চার ও ৫টি ছক্কায় ৪৮ রান করেন খুশদিল।

এরপর শেখ মেহেদী হন অবস্ট্রাকিং দ্য ফিল্ড। জাহান্দাদের বল খেলতে গেলে ক্যাচ উঠলে বোলার সেটা ধরতে গেলে সোহান ইচ্ছে করে বলের দিকে দৌড়ে ক্যাচ ধরায় বাধা দিলে তৃতীয় আম্পায়ার আউটের সিদ্ধান্ত জানান। আর শেষ বলে বাউন্ডারি সীমানায় ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাইফউদ্দিন। তাতে হারের শঙ্কায় পড়ে যায় রংপুর। কিন্তু সব শঙ্কা উড়িয়ে শেষ ওভারে সব সমীকরণ মিলিয়ে দেন সোহান।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ সূচনা করে বরিশাল। তামিম ও শান্তর ওপেনিং জুটিতেই আসে ৮১ রান। ৯ রানের ব্যবধানে এ দুই ওপেনার আউট হলে তাওহিদ হৃদয়ের সঙ্গে ৫৯ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় পুঁজির ভিত গড়ে দেন মেয়ার্স। শেষ দিকে ফাহিম আশরাফও খেলেন দারুণ এক ক্যামিও। ফলে বড় পুঁজিই পায় দলটি।

২৯ বলের দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রানের ইনিংস খেলেন মেয়ার্স। যেখানে ৭টি ছক্কার সঙ্গে একটি চার মারেন এই ক্যারিবিয়ান। ৩০ বলে ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪১ রান করেন শান্ত। ৩৪ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪০ রান করেন তামিম। ৬ বলে ১টি চার ২টি ছক্কায় ২০ রানের ক্যামিও খেলেন ফাহিম। ২৩ রান করেন তাওহিদ।

Comments

The Daily Star  | English

Chhatra Dal rally begins at Shahbagh

BNP’s Acting Chairman Tarique Rahman joined the rally virtually as the chief guest

3h ago