মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জিতল খুলনা

জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছিলেন খুলনা টাইগার্সের বোলাররা। দারুণ শুরু করা সিলেট স্ট্রাইকার্সের দেওয়া লক্ষ্যটা হাতের নাগালেই রাখেন তারা। এরপর বাকি কাজ সারেন ব্যাটাররা। জাত নেতৃত্ব সামনে থেকে দিয়েছেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। তাতে দারুণ এক জয় তুলে শীর্ষ চারে উঠেছে তার দল।  

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বিপিএলের গ্রুপ পর্বের ম্যাচে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫২ রান করে সিলেট। জবাবে ১ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে খুলনা। অন্যদিকে হারের বৃত্তেই রয়েছে সিলেট।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে এদিন ওপেনিংয়ে নামেন মিরাজ। খেলেন ৭০ রানের ইনিংস। ৫০ বলের ইনিংসটি ৮টি চার ও ২টি ছক্কায় সাজান খুলনা অধিনায়ক। তিনি যখন বিদায় নেন ততোক্ষণে জয়ের ভিত পেয়ে যায় তার দল। এর আগে বল হাতেও খুব একটা খারাপ করেননি। সিলেটের ইনিংসের শুরুতেই রনি তালুকদারের উইকেট নেন তিনি।

মোহাম্মদ নাঈম শেখকে নিয়ে ওপেনিংয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়েন মিরাজ। এই জুটি ভাঙেন নিহাদুজ্জামান। ফেরান নাঈমকে। ১৩ রানের ব্যবধানে আফিফ হোসেনকেও হারায় খুলনা। এক প্রান্ত আগলে মিরাজ হন নিহাদের দ্বিতীয় শিকার। তবে তাতে সমস্যা হয়নি। এরপর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও উইলিয়াম বোসিস্টোকে নিয়ে ছোট ছোট দুটি জুটি গড়ে বাকি কাজ শেষ করেন আলেক্স রস। 

এর আগে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেয় সিলেট। শুরুতে রনি তালুকদার বিদায় নিলেও জর্জ মানসি ও জাকির হাসানের ব্যাটে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল তারা। ৪০ বলে স্কোরবোর্ডে ৭৪ রান যোগ করেন এই দুই ব্যাটার। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই থমকে যায় রানের গতি। এমনকি নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি।

মাঝে চতুর্থ উইকেট জুটিতে জাকের আলীর সঙ্গে ৩১ রানের জুটি গড়েন জাকির। ২৬ বলের জুটিতে জাকের করেন ১৩ বলে ৮ রান। এরপর দ্রুত জাকির বিদায় নিলে আর কোনো ব্যাটারই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। ফলে সাদামাটা স্কোর নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেন মানসি। ৩২ বলের ইনিংসে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন এই ওপেনার। জাকির করেন ৪৪ রান। মানসির সমান ৩২ বলে খেলে নিজের ইনিংস সাজান ৪টি চার ও ২টি ছক্কায়। এই দুই ব্যাটার ছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল নয়ে নামা সুমন খান (৫ বলে ১২ রান)। খুলনার পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন আবু হায়দার, হাসান মাহমুদ ও সালমান ইরশাদ।

Comments

The Daily Star  | English

PSC announces major changes to ease BCS recruitment process

The PSC chairman says they want to complete the entire process — from prelims to recruitment — in 12 months

4h ago