ভারতকে হারিয়ে সিরিজে ফিরল ইংল্যান্ড

হারলেই সিরিজ খুইয়ে বসতো ইংল্যান্ড। সিরিজে টিকে থাকতে তাই জয়ের বিকল্প ছিল না তাদের। সেই লক্ষ্যে বেন ডাকেটের ঝড়ো ফিফটি ও লিয়াম লিভিংস্টনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে লড়াইয়ের পুঁজি পায় দলটি। এরপর বোলারদের দারুণ নিয়ন্ত্রিত বোলিং। তাতে দারুণ জয় মিলেছে সফরকারী দলটির। যদিও এখনও সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে ভারত।
মঙ্গলবার রাজকোটে সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ২৬ রানে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭১ রান করে তারা। জবাবে নিজেদের নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৫ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিকরা।
ইংলিশদের এই জয়ের মূলনায়ক অবশ্য বোলাররা। জোফরা আর্চার, ব্রিডন কার্স এবং জেমি ওভারটন মিলে সাত উইকেট ভাগাভাগি করে নেন, আর আদিল রশিদের দুর্দান্ত স্পেল ঘরের মাঠে ভারতের টানা দশ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ড ভাঙতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ ওভারে এক উইকেটে ৮৩ রান তুলে শুরু করেছিল ইংলিশরা। ওপেনার হিসেবে বেন ডাকেট তার প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অর্ধশতক করেন, তবে মিডল অর্ডার ভেঙে দেন বরুণ চক্রবর্তী। পরে লিয়াম লিভিংস্টোনের ২৪ বলে পাঁচটি ছক্কায় করা ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংসে মিলে লড়াইয়ের পুঁজি। আদিল রশিদ ও মার্ক উডের দশম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ২৪ রান ছিল খুবই কার্যকরী।
সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচের জয়ের নায়ক তিলক ভার্মার এদিন ছিলেন ব্যর্থ। এদিন রশিদের বলে ১৪ বলে ১৮ রান করে বিদায় নেন। পাঁচ ইনিংসের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে এদিনই প্রথম আউট হলেন তিনি। ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণের সামনে ভারত ৮৫ রানেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে।
সপ্তম থেকে ১৫তম ওভারের মধ্যে ভারতের ব্যাট থেকে আসে মাত্র দুটি বাউন্ডারি। রশিদের নিখুঁত ৪-০-১৫-১ স্পেল তাদের ইনিংসকে চেপে ধরে। এরপর এক প্রান্তে ব্যাট চালিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন হার্দিক পান্ডিয়া। তবে ৪০ বলে ৩৫ রান করে লং-অফে ধরা পড়েন ওভারটনের বলে। তার আউটের পর ভারতের আশা কার্যত শেষ হয়ে যায়।
২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালের পর প্রথমবার ভারতের হয়ে খেলতে নামা মোহাম্মদ শামি অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন। ২০ ওভার শেষে ভারত নয় উইকেটে থামে, যা নভেম্বর ২০২৩ সালের পর ঘরের মাটিতে প্রথম টি-২০ আন্তর্জাতিক হারের স্বাদ এনে দেয় তাদের।
Comments