বরিশালের সমর্থকদের জন্য জিততে চান তামিম

ঢাকা, চট্টগ্রাম কিংবা সিলেট; প্রতিটি ভেন্যুতেই ফরচুন বরিশালের সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল দেখার মতো। তাদের সরব উপস্থিতি প্রতি ম্যাচেই দ্বাদশ খেলোয়াড়ের কাজ করেছে দলটির জন্য। বরিশালের এই সমর্থকদের জন্যই খেলবেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। একইসঙ্গে শিরোপাও ধরে রাখতে চান তিনি।

বরিশালের হয়ে খেলতে পারায় নিজেদের ভাগ্যবান জানিয়ে তামিম বললেন, 'আমরা খুবই ভাগ্যবান যে আমরা এই ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলি। চিটাগং, সিলেট, ঢাকা যখন যেখানে যে ম্যাচই আমরা খেলি গ্রুপ পর্ব হোক কোয়ালিফায়িং হোক বরিশালের দর্শক সবসময় ছিল। আমরা অনেক ভাগ্যবান। এটাই আমরা বিপিএল নিয়ে স্বপ্ন দেখেছি। একেকটা দলের আলাদা ফ্যানবেইজ থাকবে। যা বরিশাল সফলভাবে করতে পেরেছে গত দুই বছরে।'

গত বছর বরিশালে ট্রফি প্রদর্শনের পরিকল্পনা করলেও শেষ পর্যন্ত বাস্তবায়ন করতে পারেননি তারা। তবে এবার যদি শিরোপা ধরে রাখতে পারেন, তাহলে ট্রফি ট্যুর করার ইচ্ছা রয়েছে বলে জানান তামিম, 'অবশ্যই চেষ্টা থাকবে যদি চ্যাম্পিয়ন হতে পারি ইচ্ছা আছে (লঞ্চে করে)। আমার মনে হয় কোনো কারণেই যেতে পারিনি। এবার যদি আল্লাহ আমাদের উপর রহমত করে তাহলে অবশ্যই।'

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামীকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় শিরোপা লড়াইয়ে চিটাগং কিংসের মুখোমুখি হবে ফরচুন বরিশাল। প্রথম কোয়ালিফায়ারে এই চিটাগংকেই হারিয়ে ফাইনালে উঠেছিল তারা। এর আগে গ্রুপ পর্বে একটি করে ম্যাচ জিতেছিল দলদুটি।

শক্তির দিক থেকে বরিশাল এবার বেশ শক্তিশালী দল। তবে মাঠে যারা নিজেদের শান্ত রাখতে পারবেন তারাই জিতবেন বলে মনে করেন তামিম, 'যে দল বেশি শান্ত থাকবে তারই জেতার চান্স বেশি। আমি আগের দুই বার ফাইনাল খেলেছি। অত বেশি চিন্তিত থাকি না ফাইনালে। আশা করি কালকের দিনও এভাবে যাক। ফাইনাল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদি শান্ত থাকতে না পারেন, চাপে পড়ে যান, তখনই ভুল করবেন। শান্ত থাকা দলই বেশি সুযোগ পাবে।'

এবার বিপিএলের আগে কোনো আনুষ্ঠানিক অধিনায়ক বৈঠক বা ফটোশুট আয়োজন করা হয়নি। তবে এ বিষয়ের তীব্র সমালোচনায় যাননি তামিম, কারণ গত বছর বরিশালের অধিনায়ক হয়েও আহসান মঞ্জিলে অনুষ্ঠিত ফটোশুটে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে তিনি মনে করেন, এই বিষয়গুলো আরও ভালোভাবে পরিকল্পনা করা যেতে পারে।

তামিমের ভাষায়, 'সত্যি বলতে, গত বছর ফটোশুটে যারা গিয়েছিল তারা ছিল (মেহেদী হাসান) মিরাজ এবং জাকের আলী অনিক, কিন্তু সেখানে আমার ও লিটন দাসের থাকা উচিত ছিল। এটি আমাদেরও দোষ যে আমরা তা করিনি। বিসিবি উদ্যোগ নিয়েছিল, তবে যদি এগুলো আরও ভালোভাবে পরিকল্পনা করা যেত...'

'(গত আসরে) আমি সেমিফাইনাল খেলে রাতের বেলা ফিরেছিলাম, তাই সকালে উঠে সেখানে যাওয়া আমার জন্য সম্ভব ছিল না। অবশ্যই এটি ভালো একটি আয়োজন হতো, তবে যদি আগেভাগেই জানিয়ে দেওয়া হতো যে ফাইনালে ওঠা দলগুলোর জন্য এটি বাধ্যতামূলক, তাহলে আরও সংগঠিতভাবে করা যেত,' যোগ করেন তামিম।

Comments

The Daily Star  | English

Project stalled amid bureaucratic hurdles

The construction of Jagannath University’s long-awaited second campus in Keraniganj has stalled due to bureaucratic delays.

55m ago